ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রেমিট্যান্সযোদ্ধারা পদে পদে হয়রানির শিকার

মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী,ফেনী

ফেনী আয়তনে অন্যান্য জেলা থেকে ছোট হলেও প্রবাসীর সংখ্যা এই জেলায় তুলনামূলক বেশি। রাজধানীর পর ফেনী রেমিট্যান্সের দিক থেকে দেশের প্রথম। তবে পদে পদে হয়রানির শিকার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। সার্ভার জটিলতা, জনবল সংকট ও ভবন অপ্রতুলতায় ভুগছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

 

ফেনীর আয়তন ৯শ’ ২৭ দশমিক ৩৪ বর্গকিলোমিটার। সরকারি নিবন্ধন অনুযায়ী, ফেনী জেলা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মে নিয়োজিত রয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৪১৫ জন।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত এক বছরে ছোট এই জেলায় রেমিট্যান্স এসেছে ৬ হাজার ১৭৩কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় ফেনীতে গড়ে উঠেছে বড় বড় দালানকোঠা। শহর হয়েছে উন্নত ও আধুনিক। তবে স্বপ্ন পূরণে বিদেশ যেতে সেবা নিতে যান প্রবাসীদের কল্যাণে নিয়োজিত দপ্তরগুলো পাসপোর্ট অফিস, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং জেলা কর্সংস্থান ও জনশক্তি অফিসে। সেখানে তাঁদের হয়রানি ও ভোগান্তির শেষ নেই বলে অভিযোগ করেন রেমিট্যান্সযোদ্ধারা।

 

ফেনী সদর উপজেলার দুবাই প্রবাসী সৌরভ বলেন, আমার ভিসা, স্মার্টকার্ড সবই আছে। তবুও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে গেলে বাড়তি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়। চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জামিনদারের প্রতয়নপত্র ইত্যাদি চায়। হয়রানিমূলক এ অবস্থা থেকে প্রবাসীদের মুক্তি দেওয়া উচিৎ।

 

সোনাগাজী উপজেলার ইউরোপ গমনেচ্ছু একরামুল হক বলেন, সার্ভার জটিলতা আর বিদুৎ না থাকায় জনশক্তি অফিসে কয়েকদিন ঘুরেও ফিঙ্গার দিতে পারিনি। ৫ দিনের মাথায় এসে ফিঙ্গার দিতে সক্ষম হয়েছি।

 

ফেনী জেলা কর্সংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক নীহার কান্তি খীসা জানান, চলতি বছর ফেনী থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন ৯ হাজার ১শ ২০ জন। তবে সার্ভারে গতির সমস্যা, লোকবল সংকট ও পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বিদেশগামীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

 

ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার সিএনএন বাংলাকে বলেন, কোথাও কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হলে ভুক্তভোগীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪