সিএনএন বাংলা২৪, ডেস্ক:
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (১ জুলাই) সকালে শৈলকুপার পৌর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বিক্রেতাদের ভাষ্য, ঈদের বাজারে পাইকারি ক্রয়মূল্য বেশি পড়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে। তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে ঘিরে এটি সিন্ডিকেট তৈরি করে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
শৈলকুপা বাজারের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেন। শনিবার তিনি ১০ কেজিও মরিচ কিনতে পারেননি। যা পেয়েছেন, তা এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
এক কেজি কাঁচামরিচ পাইকারি বাজার থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায় কিনেছেন বলে জানান তিনি। মরিচের দাম রাতারাতি হাজার টাকা হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভারত থেকে যে মরিচ আসত, তা এখন আর আসছে না। এছাড়া প্রচণ্ড তাপদাহে মরিচের গাছ বাড়েনি। এর মধ্যে বৃষ্টিতে গাছও মারা যাচ্ছে। এ কারণে কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে না।
এক ক্রেতা বলেন, এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা। বাধ্য হয়ে শুকনো মরিচ কিনে বাড়ি যাচ্ছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এক হাজার ৭৩৭ হেক্টরে মরিচ চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপ পরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, ‘আগে তাপ প্রবাহের কারণে মরিচের উৎপাদন কম হয়। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে ফুল ও ফল নষ্ট হচ্ছে। উৎপাদন কম হচ্ছে।’
দেশের অন্যান্য জেলায় অবশ্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
মানিকগঞ্জের এক ক্রেতা জানান, ঈদের দুই দিন আগে ৪২০ টাকায় এক কেজি কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। শুক্রবার মরিচ কিনতে এসে দেখি, ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রয়োজন থাকলেও কেনা হয়নি। আজ এক পোয়া ১৫০ টাকা দিয়ে কিনছি।
দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে অবশ্য ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। তবে সাড়ে ৩০০ টাকার কমে কোথাও কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে না।সূত্র:বাংলাদেশ মোমেন্টস।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: