ই-পেপার | শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারের আরেক সৌন্দর্য্য বাঁকখালী নদী

মুহাম্মদ আমির হোছাইন, কক্সবাজার

বান্দরবান-কক্সবাজারের বুকে বয়ে চলা সৌন্দর্য্য ও সমৃদ্ধির এক স্বদেশী নদী বাঁকখালী। ৬৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৯৫ মিটার প্রস্থের সর্পিলাকৃতির অসংখ্য বাঁক নিয়েই সৃষ্টি এই নদী। তাই স্থানীরা এ নদীর নাম বাঁকখালী রেখেছে বলে জানা যায়। যার বাঁকে বাঁকে গুপ্তধনের মতো প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য আর সৌন্দর্যের হাতছানি। এ নদীর আকাঁবাঁকা মোহনায় নয়নাভিরাম দৃশ্য মন ভরে যায় প্রকৃতিপ্রেমীদের।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অঞ্চলের পাহাড়ি জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছরি ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে এর উৎপত্তি। কক্সবাজারের রামু উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কক্সবাজার সদর ও শহরের পাশ ঘেঁষে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। নদীর একপাশে কক্সবাজার শহর, অন্য পাড়ে নজরকাড়া সবুজ গাছগাছালিতে ভরা তীর আর ফসলি ক্ষেতের পাশে বাঁকখালী নদী। নদীতে সারি সারি মাছ ধরার নৌকা। পাড়ে বসে জেলরা জাল বুনে শৈল্পিক কায়দায়। বাঁকখালী নদীর তীরের অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকার অন্যতম প্রধান উৎস এই নদী।

কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া, মাঝিরঘাট, খুরুশকুল নদীর দুকূলে প্যারাবন, জীববৈচিত্র্য  জলরাশি সৌন্দর্য্যমণ্ডিত করছে এই নদীকে। কেওড়া বনে ছোট-ছোট খাল কেওড়া গাছের শ্বাসমূল চোখ জুড়িয়ে যায়। যার পরিবেশ ম্যানগ্রোভ বনের মতো। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, সবুজ ভরা আঁকা ছবি।

 

নিরিবিলি নদীর শহরে ৬নং ঘাট থেকে যাত্রীরা মহেশখালী, কতুবদিয়া যাওয়ার জন্য দেখা মিলবে ছোট ছোট বোট। আর মাছ ধরার কাজে ছোট নৌকা, সারি-সারি মাছ শিকারের ট্রলার বিমোহিত করে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪