নিজস্ব প্রতিনিধি, নাটোর
চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস শাহীন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। রহস্য উদঘাটনের পর মাটির ১০ ফুট নিচে গুম করে রাখা লাশও উদ্ধার করা হয়েছে।
পরকীয়া প্রেমিক শাহীন শাহ (৪৫) কে হত্যা করে মাটির ১০ ফুট নিচে লাশ গুমের ঘটনায় আসামি হোসনে আরা খাতুন (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ১১ আগস্ট বিকেল ৪টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম এলাকায় কোম্পানি অধিনায়ক সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ নুরল হুদার নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী হোসনে আরা খাতুন (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে আক্তার আলী শাহ নামের এক ব্যক্তি নাটোর সদর থানায় একটি জিডি করেন। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, তার ছোট ভাই আইনজীবী সহকারী শাহীন শাহ (৪৫) নাটোর সদর থানাধীন কাফুরিয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি তার নিখোঁজ ছোট ভাইকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৫, রাজশাহী বরাবর একটি আবেদনও করেন। আবেদন পাওয়ার পর আধুনিক তথ্য প্রযুুক্তির সহায়তায় র্যাব-৫ জানতে পারে, নিখোঁজ শাহীনের সর্বশেষ অবস্থান ছিলো বড়াইগ্রামে।
গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে র্যাব আরও জানতে পারে, নিখোঁজ শাহীন ও বড়াইগ্রামের জলন্দা গ্রামের হোসনে আরা খাতুনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হোসনে আরা খাতুনকে আটক করে নিখোঁজ ব্যক্তি সম্পর্কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে, তার সাথে নিখোঁজ শাহীনের পরকীয়া প্রেম ছিলো।
হোসনে আরা খাতুন জানান, পরকীয়া প্রেমের তিক্ততার কারণে একপর্যায়ে তিনি জলন্দা গ্রামে নিজের বাড়িতে গত ৭ আগস্ট রাতে দুধের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে শাহীনকে অচেতন করে তার গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে হত্যা করেন। আগেই তিনি নিজ বসতবাড়ির টিউবওয়েলের পাড়ে পরিকল্পিতভাবে গভীর গর্ত খনন করে রেখেছিলেন। শাহীনকে খুনের পর সেই গর্তে তার লাশ ফেলে দেন। এরপর নিজেই সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে সেই গর্ত ভরাট করেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেই গর্ত থেকে শাহীনের লাশ তোলা হয়। আটককৃত হোসনে আরা খাতুনকে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।