ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট বেপরোয়া

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,
নাইক্ষ্যংছড়ি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে থামানো যাচ্ছে না সীমান্ত চোরাচালান। বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার গরু-মহিষ, সুপারি, ইয়াবা আটক হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে অদৃশ্য কারণ ও জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় আরো দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণির লোক। তারা যেকোনো পন্থা অবলম্বন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কৌশলে ফাঁকি দিয়ে অব্যাহত রেখেছে সীমান্তের এইসব ব্যবসা।

 

১১ বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) ৮ হাজার ৪শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জনকে ভোর সাড়ে ৪ টার সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ভাল্লুকখাইয়া সীমান্তের রোহিঙ্গাটিলা নামক এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

 

আটকরা হলেন, রামুর উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে নুরুন্নবী (২০) ও একই এলকার মো; হাশেমের ছেলে মোটরসাইকেল ড্রাইভার মো: ওবাইদুল হক প্রকাশ রিদোয়ান (১৮)।

 

এ বিষয়ে ১১ বিজিবির নবাগত জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে: কর্নেল সাহল আহমেদ নোবেল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি’র একটি টিম উপজেলার সদর ইউপির ভাল্লুকখাইয়া রোহিঙ্গা টিলা থেকে ইয়াবাসহ দুইজনকে আটককের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

 

স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, বিজিবি সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও স্থানীয় চোরাকারবারি সিন্ডিকেট দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা দিন ও রাতে বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ফুলতলী, বামহাতির ছাড়া, জারুলিয়াছড়ি ও দোছড়ি ইউপির পাইনছড়িসহ বেশ কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশ আনছে গরু, মহিষ ও সুপারির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে আনছে ইয়াবা ট্যাবলেট।

 

বর্তমানে রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও দোছড়ি ইউনিয়নে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ইয়াবা। সম্প্রতি বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেশ কয়েকটি বড় ইয়াবার চালান আটক করতে সক্ষমও হয়েছে।

 

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪