ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্ণফুলী শিকলবাহা ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃত্বে আসছেন কে

কর্ণফুলী,প্রতিনিধি:

কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়ন যুবলীগের শীর্ষ দুই পদে কারা নেতৃত্বে আসছেন তাঁদের নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্য কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে যারা সভাপতি-সম্পাদক পদে আসতে পারেন। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনের জল্পনা-কল্পনা ও নেতাকর্মীদের ধারণা, শিগগরই শিকলবাহা ইউনিয়নের নতুন নেতৃত্ব কে আসবে? কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ এবার ক্লিন ইমেজের নেতা উপহার দিতে অনেক সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

 

এতে শিকলবাহা ইউনিয়ন যুবলীগে সম্ভাব্য সভাপতি পদে প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে-মোহাম্মদ আলমগীর কবির,আব্দুল্লাহ আল মামুন মেম্বার,মোহাম্মদ রফিক মেম্বার।সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন এম এ রহিম, আব্দুল কমির মঞ্জু,মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সানি। তথ্যমতে,সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেই আলোচনায় থাকলেও তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, এই ছয় জনই থেকে সভাপতি সম্পাদকের পদে আসবেন। কারণ মাঠে তাঁদের গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে আলমগীর কবির দীর্ঘদিনের তৃণমূলের কর্মী। আর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মোহাম্মদ রফিক বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন তিন জন জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারী।

 

আলমগীর কবির বলেন আমি আশাবাদী দেখা যাক!মহান আল্লাহ্ যদি আমার কপালে থাকে নেতৃত্ব, যেটা আছে সেটাই হবে। আব্দুল্লাহ আল মামুন মেম্বার বলেন আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, আমাকে যোগ্য মনে করলে নেতৃত্বে দায়িত্ব আমাকে দেবে, না হলে আমি কর্মী হিসাবে আমি রাজনীতি করতেছি করে যাব। সভাপতি পদ আমাকে দিতে হবে তেমন কোন কথা নেই আমার নেতা দিদারুল ইসলাম চৌধুরী যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই আমার জন্য উত্তম। মোহাম্মদ রফিক মেম্বার বলেন সভাপতি আমাকে মনোনীত করবে প্রথমে কিন্তু আমি যদি অপারগতা দেখায় তাহলে অন‍্যজনকে মনোনীত করবে নেতৃত্বে। সবাই দেখেছে আমার কর্মী সমর্থক আমি আছি দরকার হলে কর্মী হিসাবে থাকব।

 

সভাপতি পদে ১০জন ফরম নিয়েছে তিনজন একাধিক পদের জন্য নিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ১২জন একজন একাধিক ফরম নিয়েছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮জন প্রার্থী রয়েছে। উল্লেখ্য বিগত ১৮মে শিকলবাহা স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শিকলবাহা ইউনিয়ন সভাপতি-সম্পাদক পদে ১৮ জন জনের তালিকা হতে যোগ্য নেতাদের একটি গোপন শর্ট তালিকাও নেতাদের হাতে পৌঁছেছে। উপজেলা নেতারাই কর্ণফুলীতে ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি দেবেন। একেক নেতার একেক বলয় রয়েছে। প্রত্যেক নেতারা যান তাঁদের পিছনে সময় দেওয়া ছেলেরা পদ-পদবিতে আসুক। তাই তদবির তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে আগ্রহীরা। অনেকে পুরাতন ছবি ফেসবুকে ছুঁড়ে জানান দিচ্ছেন কে কোন নেতার অনুসারি।

 

নীতিনির্ধারকদের একটি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ইউনিয়নে এবার এমন নেতাদের হাতে নেতৃত্ব দিতে চান, যাদের হাতে যুবলীগ ফিরে পাবে তাঁর হারানো গৌরব।এখন বিভিন্ন মাধ্যমে নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে পরিচ্ছন্ন ইমেজ, দক্ষ পরিবারে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এমন কাউকে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমেও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই প্রভাবশালী নেতাদের কেউ কেউ যার যার অবস্থান থেকে প্রার্থিতা জানান দিতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেগুলো খুব একটা পাত্তা পাচ্ছে না। যুবলীগ নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও দক্ষিণ জেলা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘন ঘন অনেকেই যোগাযোগ করছেন। এ থেকে মুখরোচক নানা কানাঘুষাও চলছে।

 

কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার ও সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক বলেন, দুই শীর্ষ পদে শিকলবাহা ইউনিয়নে ১৮ জন প্রার্থী হয়েছেন। শিকলবাহা ইউনিয়ন আমাদের জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী স্বাগতিক ইউনিয়ন উনার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত তবে যাদের মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো, সাবেক ছাত্রনেতা ক্লিন ইমেজ দেখে আমরা নেতৃত্বে আনব। শক্তিশালী কমিটি উপহার দেব যারা আগামী নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি’র হাতকে শক্তিশালী করবেন।

 

সিএনএনবাংলা২৪