ফেনী প্রতিনিধিঃ
ফেনী প্রেসক্লাবে ভাংচুর ও ১১ সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হয়।
ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
এসময় সাংবাদিকরা বলেন, প্রেসক্লাবের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের জন্য তীর্থভূমি, এখানে থেকেও সাংবাদিকরা নিরাপদে না থাকলে আর কোথায় নিরাপদ থাকবে।
সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধরা। এতে তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসক্লাবে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রেসক্লাবের দরজা-জানালার কাঁচ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের বলেন, সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে মাঠে কাজ করতে যান। গণমাধ্যমের কর্মী এবং প্রেসক্লাবের ওপর হামলা মেনে নেয়া যায় না, এটি মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর আঘাত। আমরা এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই৷
প্রসংগতঃ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ফেনী শহরের ইসলামপুর রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে সংঘর্ষে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এতে শহরের খেজুর চত্ত্বর থেকে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে মোহনা টিভির প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ নিলয়, মুস্তাফিজ মুরাদ,মানবজমিনসহ ফেনী প্রতিনিধি নাজমুর হক শামীম সহ ৯-১০ জন আহত হন।
হামলায় আহতরা হলেন- ডিবিসির ফেনী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, মোহনা টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয়, দৈনিক মানবজমিনের ফেনী প্রতিনিধি নজমুল হক শামীম, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্ট মীর হোসেন রাসেল, ডিবিসি টিভির ক্যামেরাপারসন দুলাল তালুকদার, দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক মুস্তাফিজ মুরাদ, সাপ্তাহিক, বাংলাভিশন টিভির ক্যামেরাপারসন মামুন মিরাজুল, এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন ও দৈনিক ফেনীর চিত্রগ্রাহক মোজাম্মেল হক লিংকন, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের ক্যামেরাপারসন কামরুল ইসলাম।
এছাড়াও ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল নিজাম উদ্দিনসহ ১১জন পুলিশ সদস্যও আহত হওয়ার খবর জানা গেছে।