ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটিয়ায় বেলা’র উদ্যোগে ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে ক্যাম্পেইন

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া

চট্টগ্রামের পটিয়ায় হাবিলাসদ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিবেশ সংগঠন বেলা’র উদ্যোগে দৈনন্দিন জীবনে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ১৭ আগষ্ট, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এতে পুরো প্রতিপাদ্য বিষয়টি তুলে ধরেন বেলা’র চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা।

 

বক্তব্য রাখেন ফিল্ড অফিসার ফারহিন এলাহী বেলা’র একাউন্টস অফিসার তমিজউদ্দিন আহমদ।

এতে বলা হয়, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের দূষণ নিয়ে সারাবিশ্ব এখন উদ্বিগ্ন। এই প্লাস্টিক পঁচনশীল নয়। তাই এটি দীর্ঘ সময় ধরে মাটি, পানি এবং বায়ুতে থাকে। দীর্ঘ সময় পরিবেশে অবস্থানের ফলে প্লাস্টিক দ্রব্যাদি মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয় এবং সরাসরি প্রাণির খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে। ফলে মানবজাতি ও প্রাণিকূল নানা ধরনের প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এতে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব, বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন ও ব্যবহারসহ বাংলাদেশে এর চাহিদা ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এর ফলে জনজীবন ও পরিবেশ ও প্রতিবেশের সকল ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশসমূহে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে কি কি উদ্যোগ বা আইন করা হয়েছে সেই বিষয়েও আলোচনায় উঠে আসে।

 

গ্রিনপিসের তথ্যমতে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল পুরোপুরি ধ্বংস হতে সময় লাগে ১০০০ বছর, যেখানে প্লাস্টিক ব্যাগ ধ্বংস হতে সময় লাগে ৪৫০ বছর। সামান্য একটি প্লাস্টিকের স্ট্র পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ বছর বিদ্যমান থাকে। একটি প্লাস্টিকের বোতল থেকে প্রায় ১০,০০০ ক্ষুদ্র কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক তৈরি হতে পারে যা পরিবেশ ও প্রতিবেশে স্থায়ীভাবে থেকে যায়। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক থেকে কার্সিনোজেন (Carcinogen) ও এনডোক্রাইন (Endocrine) নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বের হয়, যা প্রাণিকূলের দেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

 

২০১৭ সালে ফ্রান্সের একদল বিজ্ঞানী বায়ুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। নেদারল্যান্ডস এর ভ্রিজে ইউনিভারসিটি আমস্টার্ডামের বিজ্ঞানীরা ১৭ জন ব্যক্তির রক্তে প্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছেন যা সাধারনত প্লাস্টিকের পানির বোতল, খাবারের প্যাকেট এবং বায়ুর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। ২০২২ সালে ইউরোপের “হাল ইয়ক মেডিক্যাল স্কুল” নামক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় মানবদেহের ফুসফুসে মাইকোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

 

সম্প্রতি গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, ইতালির বিজ্ঞানীরা মায়ের বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪