ই-পেপার | বুধবার , ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্যার পলি মাটিতে তলিয়ে গেছে শত একর জমির ফসল

শাহাদাৎ হোসেন সোহাগ, দীঘিনালা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শত একর কৃষি জমিতে প্রতি বছর চাষ হচ্ছে কয়েক হাজার টন ধান, ও অন্যান্য কৃষি ফসল। সাধারণ কৃষকরা এই কৃষি ফসল উৎপাদন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। তবে এই কৃষি ফসল উৎপাদন করার একমাত্র লক্ষ্য তাদের পরিবার ও দেশের মানুষের আহার যোগানো।

প্রতিবছর একবার বন্যাতে তলিয়ে যায় এসব কৃষি জমি আর নষ্ট হয়ে থাকে বিভিন্ন কৃষি ফসল। কিন্তু এ বছর অন্য বছরের তুলনায় দিগুণ ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। পলি মাটিতে তলিয়ে যায় এসব কৃষি জমির ফসল। দীঘিনালার কৃষকরা বলছেন, পলি মাটিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ফসল। আমন খেতের ক্ষতি হয়েছে সীমাহীন।

 

স্থানীয় মেরুং ইউনিয়নের কৃষক আবদুল মোতালেব (৫৬) জানান, তার প্রায় ৫ একর কৃষি ধানের জমি পলি মাটিতে তলিয়ে গেছে এবং ধানের শীষগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের জমি এভাবে পলিতে তলিয়ে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।

 

কৃষক মো: নবী হোসেন (৩৫) তার ধানের জমিতে চাষাবাদ করেছেন। এবারের বন্যায় তার ৬ একর কৃষি জমি পানিতে ডুবে গেছে। পরে পানি শুকালে দেখা যায় প্রায় ৫ একর কৃষি ধানের জমি পলি মাটিতে তলিয়ে আছে এবং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

বিভিন্ন কৃষকের কাছে তাদের কৃষি ফসলের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন- আমরা কৃষকরা এই কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন করেই আহার যোগাই। কিন্তু পলি মাটিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা পুরোটাই ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমাদের আর কিছুই করার নেই, যদি আমাদের ক্ষতি গুলো উপজেলা কৃষি অফিস একটু বিবেচনায় মানবিক দৃষ্টিতে দেখেন তবে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

 

এই বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা সরেজমিনে মেরং, বোয়ালখালী এবং কবাখালী সরেজমিন পরিদর্শন করে ডিসি স‍্যারের নিকট ক্ষতির রিপোর্ট দিয়েছি। জেলা পরিষদে মিটিং হয়েছে প্রণোদনার ব‍্যাপারে। আমন এবং সবজীর বীজ প্রণোদনা দেয়ার জন‍্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪