এম শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী:
পূর্বে পাহাড়, পশ্চিমে সাগরবেষ্ঠিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যের জনপদ বাঁশখালী। বৃহত্তম জনগোষ্ঠির এ অঞ্চল একটা সময় দেশজুড়ে নিত্য ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে বাজেভাবে আলোচিত ছিল। এখন অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা মজবুত ভিত্তিতে।
বাঁশখালী থানায় লোকজন পাচ্ছে হয়রানীমুক্ত নাগরিক সেবা। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ এটা প্রমাণ করতে বাঁশখালী জুড়ে স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ-মন্দিরে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অব্যাহত রয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং সভা। কথা বলছেন সবার সাথে, শুনছেন সবার কথাও।
সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন নিজের অফিস। ইয়াবা-মাদক নির্মূলে আপোষহীন কার্যক্রম চলছে বিরতিহীনভাবে। শক্তহাতে দমন করছেন অপরাধীদের। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ির আলোচিত একটি ক্লু-লেস মার্ডারের ঘটনার পর টানা ৪১ ঘন্টার অভিযান শেষে সকল জল্পনা-কল্পনা, চিন্তা-ভাবনা ও সন্দেহের উর্ধ্বে গিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। তিনি হচ্ছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম। বাঁশখালী থানার ওসি নিজের সৌভাগ্য ও সফলতা ফেরানোর পাশাপাশি তাঁকে ঘিরে যারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরাও আলোকিত হচ্ছেন। ৮ম বারের মতো চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি’র স্বীকৃতি পেয়েছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম।
রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ তাঁকে মে ও জুন মাসে বাঁশখালীতে অস্ত্র, মাদক উদ্ধার এবং দাগী-চিহ্নিত আসামী গ্রেফতারে অবদান রাখায় পর পর দুই মাসের জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির স্বীকৃতি হিসেবে ক্রেষ্ট তুলে দেন। ওসি কামাল উদ্দিন বাঁশখালীতে যোগদানের পর এর আগেও চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি’র ছয় বার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। পর পর তিনবার ২০২১ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস এবং ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে। ২০২৩ সালের জানুয়ারী, এপ্রিল, মে ও জুন মাসে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিসহ পুরস্কারের ঝুলিতে ৮ম বারের মতো হলো।
এছাড়া জেলার আরও ৪ জন দারোগা সেরা হয়েছেন। তারা হলেন- মাদক উদ্ধারের জন্য এসআই রফিকুল ইসলাম, বেশি সংখ্যক মামলা নিস্পত্তির জন্য এসআই মোহাম্মদ মাসুদ, বেশি সংখ্যক গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামী ধরার জন্য এএসআই মোহাম্মদ খালেক, বেশি সংখ্যক সাজাপ্রাপ্ত আসামী ধরার জন্য এএসআই আব্দুর রহিম। এর আগে বেশি সংখ্যক মামলা নিস্পত্তির জন্য থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রাজীব চন্দ্র পোদ্দার এবং বেশি সংখ্যক আসামী গ্রেফতারে অবদান রাখায় এএসআই আব্দুল খালেকও পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, বাঁশখালী থানার দলবদ্ধ পুলিশবাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করে বলেই প্রতিমাসে ব্যাপক মাদক, অস্ত্র উদ্ধার করতে পারি। দাগী আসামীরাও গ্রেফতার হচ্ছে। নিরলস কাজ করে স্বীকৃতি পেলে কাজে দ্বিগুণ উৎসাহ জাগে। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি দেশের জন্য শ্রেষ্ঠ কিছু করতে পারাটা আমার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য। পাশাপাশি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এলাকার জনগণকে শান্তিতে রাখতে, মাদক নির্মুলে, সন্ত্রাস নির্মূলে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪
