@ সেলিম উদ্দিন @
কিছু কিছু মানুষ ‘হুজুর’ দেখলেই খালি বাঁশ দেয়। জামা যদি একটু বড় হয়, তাহলে বলে হুজুররাই কাপড়ের দাম বাড়াইছে। জামা ছোট হলে বলে ‘টেডি হুজুর’।
পেট বড় হলে বলে পরের খানা খাইতে খাইতে পেটটারে জাহান্নামের তাগাড়ি বানাইছে। পেট ছোট হলে বলে মাদরাসায় পড়ে লাভ কি? খাইতেও পায়না।
দাওয়াত খাইতে গিয়ে যদি বেশি খায়, তাহলে বলে হুজুরেরা পরের খানা পাইলে এরকম বেশিই খায়।
আর কম খাইলে বলে হুজুর আরও কয় জায়গায় দাওয়াত আছে?
হুজুর যদি মসজিদের চাকরির পাশাপাশি কোনো ব্যবসা করে, তাহলে বলে ‘দুনিয়াদার হুজুর’। মহিলা মানুষের সাথে কথা বলে এমন হুজুর মসজিদের চাকরিতে রাখা যাবেনা। আর যদি কিছু না করে তাহলে বলে হুজুরদের তো কোনো কাজ নাই, খালি বসে বসে পরেরটা খায়।
আবার কিছু মানুষ বলে বাংলাদেশটারে হুজুররাই শেষ করছে। ওরে মুসলমান, কুত্তা মরে, বিড়াল মরে, পশু মরে জানাজা হয়না। বাংলার জমিনে যদি ওলামায়ে কেরাম না থাকতো তোমার মরনটা কুত্তার মতো জানাজা ছাড়া হইত।
বেটা, তোর আব্বার বিয়া পড়াইতে হুজুর লাগসে। তোর বাপ আর মার বিয়া যদি হুজুর না পড়াইত, তুই হারামজাদা, জারজ পোলা হইতি। জন্মের সময় কানে আযান দিতে হুজুর লাগসে। তোরে সহিহভাবে জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেওতো হুজুরের অবদান আছে।
এখন হুজুর পাইলেই এতো গুতাস ক্যা?
লেখক: সেলিম উদ্দিন,
ঈদগাঁও, কক্সবাজারে কর্মরত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।