নিজস্ব প্রতিবেদক : মঠবাড়িয়া থানায় পাওনা টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হলেন সালমা আক্তার তিনি বলেন আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মিস সালমা আক্তার পিতা রওন তালুকদার সাং দেবত্র দাউদখালী ইউনিয়ন উপজেলা মঠবাড়িয়া জেলা পিরোজপুর আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজ তয় বর্ষে অধ্যয়ন করি আমাকে ও আমার ভাইকে সৌদি আরবে চাকরি দিবে বলিয়া
৭.০০.০০০/(সাত লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ কোরিয়া প্রতারণা করিলে আমি আমার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বিগত ইং ২৫/৫/২২ তারিখ মঠবাড়িয়া থানা একটি লিখিত অভিযোগ করি!
অভিযোগটি মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল তার নিজ দায়িত্বে নেন এবং এএসআই ফিরোজ আলমকে সাথে রেখে উক্ত ওসি স্যার আমাকে একটি কক্ষে ডাকেন এবং অভিযোগের কাগজটি আমার হাতে দিয়ে আমাকে নানান রকম লোভ দেখান এবং কু প্রস্তাব দেন আমার শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন আমি প্রতিবাদ করে সেখান থেকে চলে আসি বর্তমানে ওসি নুরুল ইসলাম বাদল শ্যামনগর থানায় আছেন
আসামিরা আমাদের সাথে নিজস্বভাবে মীমাংসা হবার কথা বলে আমাদের পাওনা টাকা ২.০০.০০০/ (দুই লক্ষ) টাকা নগদে দিবে এবং বাকি ৫.০০.০০০/ (পাঁচ লক্ষ) টাকার জন্য একটি চেক দিবে স্বীকার করে আমি এই কথার এএসআই ফিরোজ স্যারকে জানাইলে স্যার আমাদের নিজস্বভাবে মীমাংসা না হয় আসামিদের নিয়ে থানার মাধ্যমে মীমাংসা হবার কথা বলে আমার সরল বিশ্বাসে আসামিদের নিয়ে থানায় বৈঠকে বসি বৈঠক শেষে ১ নং আসামিকে থানায় আটক করেন এবং কয়েক ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেন
এবং নানাভাবে হয়রানি করেন যৌন হয়রানীর ভয়ে ওসি নুরুল ইসলাম বাদলের কাছে না গিয়ে তদন্ত অফিসারের কাছে ন্যায়বিচার জন্য যাই কিন্তু সেও আমাকে কু প্রস্তাব দেন এবং অশ্লীল কথা বলেন আমি তখন নিরুপায় হইয়া ২৩/০৮/২২ তারিখ আমাদের পিরিজপুর জেলা সুপার মহোদয়ের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করি তখন পুলিশ সুপার মহোদয় স্যার ওসি নুরুল ইসলাম বাদলকে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন
সেমতে বিগত ইং ০১/০৯/২২ তারিখ আমাকে থানায় ডাকেন আমি থানায় গিয়ে স্যারদের সাথে কথা বলে আসার পথে আসামিরা এবং অজ্ঞাত নামা ২ জন লোক আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে কোপ দেয় এবং গুরুতর জখম হই আমি জখম হইলে আমার পিতা বাদী হইয়া উক্ত তারিখে মঠবাড়িয়া থানা একটি মামলা দায়ের করেন
আসামি ১) মোঃ নাসির হাওলাদার (৩৫). পিতা মোঃ আলকাজ উদ্দিন হাং ২) আলকাজ উদ্দিন হাং (৫৫) পিতা মৃত কাছেম হাং ৩) আল আমিন (৩৫) পিতা মৃত আব্দুল সাত্তার সর্ব সাং তাফালবাড়িয়া উপজেলা জেলা মঠবাড়িয়া আরো অজ্ঞাত নামা (২) জন লোক আছে
সালমা আক্তার আরো বলেন ওসি স্যার নানা কৌশলে আমাদেরকে অপেক্ষায় রাখেন এবং ০৯/১২/২২ তারিখ মামলাটি এফ আই আর করেন এবং মামলাটির দায় দায়িত্ব দেন এসআই আবুল কাছেম উপর অতঃপর আবুল কাছেম স্যার আমার নিকট হইতে ৫.০০০/- পাঁচ হাজার টাকা নেন কিন্তু কাছেম স্যার আসামিদের নিকট হইতে ৩.০০.০০০/- তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে পিরিজপুর নারী ও শিশু আদালতের মামলা ৯৬/২২ জজ স্যারের প্রতিবেদন আটকে রাখে ১ নং আসামিকে গোপনে বিদেশ পাঠিয়ে দেয় কাছেম স্যার আমার ৯ ছবি পিরিজপুর নারী ও শিশু আদালতে জমানা দিয়ে নিজের কাছে রেখে আমাকে প্রায় ব্ল্যাকমেইল করিয়া আসিতেছে
এ বিষয়ে,মঠবাড়িয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ
ওসি নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোন কথা বলার জন্য তাকে ফোন দেওয়া হয় কিন্তু বারবার কল দেওয়ার পরেও সে কল রিসিভ না করে কেটে দেন