সেলিম উদ্দীন:
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালির তরুণ হাসান মুরাদ।
পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে চোরাই পথে স্বপ্নের মালয়েশিয়া যাবার পথে থাইল্যান্ড কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিনাতিপাত করছে হাসান সরওয়ার মুরাদ।
হতভাগ্য মুরাদ খুটাখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকার আবুল কালামের পুত্র৷
ছেলের শোকে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পুরো পরিবার। পুত্রকে ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হতভাগা পিতা কালাম মাঝি।
দিনমজুর কালাম মাঝির ২ ছেলে ২ মেয়ে। ছেলেকে স্বপ্নের মালয়েশিয়া পৌঁছাতে এই পর্যন্ত কয়েক দফায় দালালের হাতে তুলে দিয়েছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
দালালের দাবি মেটাতে বিক্রি করতে হয়েছে মাথাগোঁজার ঠাঁই ভিটেমাটি। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন অন্যের ঘরে।
হাসান সরওয়ার মুরাদ চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি পরিবারের অজান্তে টেকনাফ থেকে ইঞ্জিন বোটে করে সাগর পথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। থাইল্যান্ডে পৌঁছে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন মোবাইল ফোনে।
পরে অবৈধ পথে বর্ডার পার হতে গিয়ে সেখানকার পুলিশের হাতে আটক হন। বর্তমানে থাইল্যান্ডের কারাগারে আটক রয়েছেন মুরাদ।
মুরাদের দিনমজুর পিতা আবুল কালাম এরই মাঝে ছেলের কথামতো দালালদের হাতে একে একে তুলে দিয়েছেন নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
এর মধ্যে উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে একটি মোাবাইল ফোনের দোকানে ৩ লাখ, বালুখালির এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ, টেকনাফের শাপলাপুর ইউনিয়নের বাহারছড়ার এক দালালকে ৫৩ হাজার টাকা পরিশোধ করেন কালাম মাঝি।
তবে এতকিছুর পরও ছেলের মুক্তি মেলেনি। নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েও দালালরা ফিরিয়ে দেয়নি সম্ভাবনাময়ী তরুণ হাসান সরওয়ার মুরাদকে।