ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৮০ হাজারে বিক্রি হলো ৫ মণ ওজনের নিষিদ্ধ শাপলাপাতা

নিজস্ব প্রতিবেদক,নড়াইল:

 

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা ও মধুমতি নদীর মোহনায় রতন বিশ্বাস(৩০) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৫ মন ওজনের বিশাল আকৃতির নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ।

শনিবার(৮ জুলাই) সকালে উপজেলার বড়দিয়া বাজার সংলগ্ন নবগঙ্গা ও মধুমতি নদীর মোহনায় জেলেদের জালে নিষিদ্ধ এ মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার মহাজন উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত বাসুদেব বিশ্বাসের ছেলে রতন বিশ্বাস প্রতিদিনের মতো মাছ ধরার উদ্দেশ্যে নদীতে পাইড়জাল ফেলেন। শনিবার সকালে জাল ওঠানোর সময় অতিরিক্ত ওজন অনুভব করায় ১০-১২ জন জেলের সহায়তায় জাল টেনে ওপরে তুলে আনুমানিক ৫ মন ওজনের শাপলাপাতা মাছটি দেখতে পান। দৈর্ঘ্য প্রস্থের প্রায় ৭ ফুট বিশাল আকৃতির শাপলাপাতা মাছটি দেখতে মহাজন উত্তরপাড়া শ্মশানঘাটে শত শত মানুষ ভিড় জমায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ীর হস্তক্ষেপে নিষিদ্ধ এই মাছটির দাম ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় ক্রেতাদের মাঝে ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কেটে বিক্রয় করা হয়।

জেলে রতন বিশ্বাস বলেন, পাঁচ-ছয় ইঞ্চি ব্যাসের ফাঁস বিশিষ্ট পাইড়জাল নদীর তলদেশে এক কুল থেকে অন্য কুলজুড়ে আড়াআড়িভাবে পেতে রেখে সাধারণত পাঙাশ, বোয়ালসহ বড় বড় মাছ ধরা হয়। এই জালেই অন্তত ৫ মণ ওজনের মাছটি ধরা পড়েছে। এতো বড়ো মাছ এর আগে কখনো দেখিনি। এটি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কালিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, ৫ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে শুনেছি। বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় এই মাছ বেশি পাওয়া যায়। এই মাছ প্রজাতিভেদে ৮০০ কেজি ওজন পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী শাপলাপাতা মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এই মাছ ধরার ক্ষেত্রে জেলেদেরকে আমরা নিরুৎসাহিত করে থাকি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: