ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাংনীতে মাদক বিক্রিতে নিষেধ করায় হামলা

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

মেহেরপুরের গাংনীতে মাদক বিক্রিতে নিষেধ করায় মাদক ব্যবসায়ী সেকান্দর, তার ভাই এসকান্দর ও স্ত্রী চায়না খাতুনের আঘাতে মিনারুল ইসলাম নামের একজন আহত হয়েছেন। আহত মিনারুল ইসলাম মাইলমারী সর্দারপাড়ার মৃত ছহির উদ্দীনের ছেলে।

শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে গাংনী উপজেলার মাইলমারীর মন্ডলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, মাইলমারী গ্রামের মন্ডলপাড়ার মৃত দবির উদ্দীনের ছেলে সেকান্দর আলী দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন ও প্রকাশ্যে দিবালোকে বিক্রি করে আসছেন। এর ফলে মাইলমারীসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উঠতি বয়সের তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত ক্রয় করে সেবন করে মরন নেশায় মেতেছে। অনেকে এখান থেকে হেরোইন ও গাঁজা ক্রয় করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রিও করে বলে অভিযোগ রয়েছে। গাঁজা ও হেরোইনের বড় বড় চালান রাতের আঁধারে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও কৌশলে পাঠানো হয়ে থাকে। মাদক বিক্রিতে নিষেধ করলে তার বাড়িতে মাদক রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেবে এমন ভয়ও দেখানো হয়ে থাকে যে কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। সকাল থেকে রাত অবধি দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সেকান্দর।

এলাকা থেকে মাদক নির্মুল করতে উদ্যোগ নেন গ্রামের মিনারুল ইসলাম। ঈদুল আযহা’র কয়েকদিন পূর্ব থেকেই এলাকায় মাদকাসক্তের উপস্থিতি দেখলেই তাদের ধাওয়া শুরু করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় মাদকাসক্তদের আনাগোনা কমে যায়। কিন্তু ঈদের পূর্বের দিন থেকে আবারও বেড়ে যায় মাদকাসক্তদের আনাগোনা। মিনারুল ইসলামও উঠে পড়ে তাদের ধাওয়া করতে থাকেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন সেকান্দরের বাড়িতে আবারও দলে দলে প্রবেশ করতে শুরু করে মাদকাসক্তরা। এমতাবস্থায় মিনারুল সেকান্দরের বাড়িতে মাদকাসক্তদের আসতে নিষেধ করায় রাগান্বিত হয়ে সেকান্দর, তার ভাই এসকান্দর ও স্ত্রী চায়না টেনেহিঁচড়ে মিনারুলকে ঘরের মধ্যে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে মিনারুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

 

তবে এলাকালাবাসী মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর কথা বললেও মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এহেন ঘটনায় দু’পক্ষই গাংনী থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন।

 

ভুক্তভোগী মিনারুল ইসলাম জানান, আমি মাদক নির্মূলে উদ্যোগ নেওয়ার পর সেকান্দরের মন্দাভাব তৈরি হয়। প্রতি মাসে মাদক ব্যবসা করে ৪-৫ লাখ টাকা ইনকাম করলেও তা বন্ধের উপক্রম হওয়ায় আমাকে আটকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

 

এবিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করা হলে তিনি ছুটি থেকে গত শনিবার এসেছেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: