ই-পেপার | মঙ্গলবার , ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি কামনা করে ঈদুল আযহা পালিত 

নুর মোহাম্মদ:

কক্সবাজারেও সারা দেশের ন্যায় গভীর ভাবগাম্বীর্যতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মাওলানা হাফেজ সোলাইমান কাসেমীর ইমামতির মধ্যদিয়ে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতের আগে খুতবা ও বয়ানে কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।

কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

নামাজে প্রায় ১৫ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। ঈদের নামাজ ও খুতবা শেষে মোনাজাতে দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। পরে অনেকেই ছুটে যান প্রিয়জনের কবরস্থানে। সেখানে কবর জিয়ারত শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যে যার সাধ্যমতো পশু কোরবানি দেন।কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে এবার অর্ধশতাধিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবায়ের ব্যবস্থা করা হয়।

প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) মো.নাসিম আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, সদর উপজেলার অ্যাসিল্যান্ড মো. জিল্লুর রহমান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম মাদু।

এদিকে ঈদের প্রথমদিনে পর্যটন স্পটগুলো ছিল স্থানীয়দের বিনোদনের প্রধান উৎস। সৈকত ও হোটেল-মোটেলেও দেখা যায়নি পর্যটকদের ভীড়। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিনে আশানুরূপ পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ঈদের প্রথমদিনে কোন পর্যটক দেখা মেলেনি। সৈকত ও হোটেল-মোটেলেও দেখা যায়নি পর্যটকদের ভীড়। পর্যটন স্পটগুলো ছিল শুধুমাত্র স্থানীয়দের বিনোদনের প্রধান উৎস। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিনে আশানুরূপ পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বাঙালি সমাজে কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে।