ই-পেপার | শনিবার , ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যাকে অফিসার বানালাম, সে-ই প্রেমিকের সঙ্গে হুমকি দিচ্ছে’

সিএনএনবাংলা২৪:

স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘটেছে এ ঘটনা। ভুক্তভোগী স্বামীর অভিযোগ, স্বেচ্ছায় বিবাহবিচ্ছেদ না করলে খুন করে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন স্ত্রী এবং তার হোম গার্ড অফিসার প্রেমিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই সরকারি কর্মচারী। একইসঙ্গে নিরাপত্তা চেয়ে প্রয়াগরাজের ধুমানগঞ্জ থানা এবং হোম গার্ড সদর দফতরেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন।

অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি রাজ্যের পঞ্চায়েতি রাজ বিভাগের কর্মচারী। তার স্ত্রী বরেলী সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট। স্ত্রীর প্রেমিক উত্তরপ্রদেশের হোম গার্ড বিভাগের একজন অফিসার।

ওই ব্যক্তির অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রী এবং তার প্রেমিক তাকে ফোন করে হুমকি দেন। বিবাহবিচ্ছেদে রাজি না হলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফেও তাকে সাহায্য না করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।

খবরে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এখনও এই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেনি। তবে ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হোম গার্ড বিভাগ।

জানা যায়, অভিযোগকারী ধুমানগঞ্জ থানার ঝালওয়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১০ সালে তিনি বারাণসীর এক নারীকে বিয়ে করেন। তার কথায়, আমি পড়াশোনায় ভাল ছিলাম এবং বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতাম। স্ত্রীও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল। আমি সহজেই রাজি হয়ে যাই। ভেবেছিলাম স্ত্রীর অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করব।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রতাপগড়ে থাকলেও স্ত্রীকে পড়াশোনার জন্য প্রয়াগরাজের ভালো কোচিং ক্লাসে ভর্তি করাই। আর্থিক টানাটানি সত্ত্বেও স্ত্রীর সমস্ত খরচ বহন করতাম। ২০১৬ সালে স্ত্রী সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট হয়। প্রথমে প্রয়াগরাজে কর্মরত থাকলেও স্ত্রী পরে বরেলীতে বদলি হয়ে যায়।’

ওই সরকারি কর্মীর দাবি, ২০২০ সালে সেখানেই ওই হোম গার্ড অফিসারের সঙ্গে আলাপ হয় তার স্ত্রীর। অভিযোগ, ২০২১ সালে তিনি স্ত্রী এবং ওই অফিসারকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এর পরই স্ত্রী এবং তার প্রেমিক তাকে ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে।

তিনি আরও বলেছেন, আমি সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে স্ত্রীর পড়াশোনা করিয়েছি এবং এখন সে একজন অফিসার। সেই স্ত্রী-ই এখন আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি। ধুমানগঞ্জ থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছি।

 

নুর মোহাম্মদ, সিএনএনবাংলা২৪