ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রংপুরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ডিএনএ রিপোর্ট পজিটিভ হলেও শঙ্কায় ধর্ষিতার পরিবার

বেলায়েত হোসেন বাবু, রংপুর

রংপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী ১৭ বছরের কিশোরী ২০২২ সালের ১২আগস্ট আবুল কালাম আজাদ কর্তৃক ধর্ষিত হয়। যা সে সময় সংবাদ প্রচারিত হলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

কিশোরীর মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পরবর্তীতে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন ও ধর্ষিতার সন্তান জন্ম নিলে সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য।

তদন্ত শেষে পুলিশের চার্জশিট ও ডিএনএ রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হয় যে আবুল কালাম আজাদ ওই কিশোরীর গর্ভজাত নবজাতক পুত্র সন্তানের জৈবিক পিতা। তদন্ত রিপোর্ট ও ডিএনএ রিপোর্ট আদালতে জমা হলে আবুল কালাম আজাদের ছেলে মামুন, মাসুদ, মান্নাসহ কয়েকজন শিশু বাচ্চাটিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও পরিবারের সকলকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হলেও শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে ওই পরিবারটির।

সরেজমিন ও তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা যায় , রংপুর কোতোয়ালি (মেট্রো) থানাধীন ১৩ নং ওয়ার্ডের দামোদপুর গ্রামের ফরহাদ মিয়া ও রোজিনা বেগমের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী কিশোরী। ফরহাদ সপরিবারে হাজিরহাট (মেট্রো) থানাধীন ১০নং ওয়ার্ডস্থ বক্তিয়ারপুর আদর্শগ্রামে ২০২২ সালে রিফার নানার বাড়িতে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে গেলে এলাকার মৃত আকবর হোসেনের বিবাহিত ছেলে আবুল কালাম আজাদ ২০২২ সালের ১২ আগস্ট বিকেলে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মেয়েটি ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি।

 

পরে আন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে হাজিরহাট থানায় মা রোজিনা বাদি হয়ে মামলা করেন। পরে বাচ্চাটির জন্ম হলে কোর্টের নির্দেশে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। পরবর্তীতে হাজিরহাট থানার এসআই মিরাজ শাহ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে কোর্টে চার্জশীট পেশ করে, পাশাপাশি ডিএনএ রিপোর্টে সুদৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয় শিশু বাচ্চাটি আবুল কালাম আজাদের।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরীটির বাবা ফরহাদ মিয়া বলেন, আমার মেয়ের শিশু বাচ্চার পিতার পরিচয় চাই ও আবুল কালাম আজাদের এমন শাস্তি চাই যাতে কেউ আর এ রকম কাজের সাহস না পায়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজিরহাট থানার এসআই মিরাজ শাহ বলেন, তদন্ত করে যা পেয়েছি তার রিপোর্ট আাদালতে প্রদান করেছি। পাশাপাশি ডিএনএ রিপোর্টও জমা দিয়েছি। এখন আদালত সিদ্ধান্ত নিবে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪