বিশেষ প্রতিবেদক :
বগুড়া: বগুড়ার কাহালু উপজেলায় আফরিন কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ৫ লাখ পিস ডিম অবৈধভাবে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও আগামী ৭ দিনের মধ্যে ডিমগুলো বাজারে বিক্রির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলের দিকে কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেরিনা আফরোজের নেতৃত্বে ওই কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, একটি সিন্ডিকেট ডিমের বাজার অস্থিতিশীল করতে দীর্ঘদিন বগুড়ায় সক্রিয় ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত বগুড়ার একটি হিমাগারে অভিযান চালাতে গিয়ে এমন তথ্য উঠে আসে। বগুড়ায় কাহালু উপজেলার মুরইল উপজেলায় আরাফিন নামে কোল্ডস্টোরে বুধবার অভিযান পরিচালনা করে ৫ লাখ অবৈধ মজুদ ডিমের সন্ধান পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ডিমের অবৈধ মজুদের কারণে কোল্ডস্টোরের ম্যানেজারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইউএনও মেরিনা আফরোজ জানান, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, কিছু হিমাগারে অবৈধভাবে ডিম মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে বুধবার কয়েকটি হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাহালু উপজেলার মুরইল বাজার এলাকায় অবস্থিত আফরিন কোল্ড স্টোরেজে গিয়ে দেখা যায়, তারা প্রায় ৫ লাখ ডিম মজুত করে রেখেছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ডিমগুলো বাজারজাত না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, আফরিন কোল্ড স্টোরেজে ডিম, ফল, সবজি সংরক্ষণের জন্য কৃষি বিপণন থেকে লাইসেন্স নেওয়া ছিল কিন্তু তারা ডিমগুলো অধিক সময় মজুত করে রেখেছিল। তাছাড়া তারা সাব-স্টান্ডার্ডে ডিমগুলো সংরক্ষণ করেছিল। এসব কারণে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হিমাগারের ম্যানেজার মমতাজুর রহমানের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয় ৷
কাহালু উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহবুব হাসান চৌধুরী জানান, সেখানে কিছু নষ্ট ডিমও পাওয়া যায়, যা তারা সংরক্ষণ করতে পারেন না।
এ বিষয়ে কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মমতা হক জানান, ডিম বা ফল রাখার পৃথক পৃথক লাইসেন্স আছে। ডিম বা ফল সংরক্ষণের নামে দীর্ঘ সময় মজুদ রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ। ঈদুল ফিতরের আগে মৌখিকভাবে ডিম ৭ দিনে জন্য সংরক্ষণের জন্য বগুড়ায় রেল লাইনের ডিমের কিছু ব্যবসায়ীরা অনুমতি চায়। লাখ লাখ ডিম দীর্ঘদিন মজুদ রাখার জন্য কোনো মৌখিক বা লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়নি। অধিক সময় হিমাগারে ডিম মজুদ রেখে বাজার অস্থিতিশীল করা মোটেও কাম্য নয়। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ মজুদ।