নিজস্ব প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন জালালাবাদ সীবিচ আবাসিক এলাকাস্হ শাহ আলমের দোকানের সামনে রাত সাড়ে বারোটার দিকে অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার সময় সাদিয়া বেগম সেতুর উপর একদল সন্ত্রাসী গরম পানি মেরে তার পুরো শরীর ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, মোঃ জালাল উদ্দীন ঘটনার রাতে অসুস্থ শাশুড়ীর দুরবস্থার খবর পেয়ে দ্রুত শাশুড়ীকে দেখতে তার স্ত্রী সাদিয়া বেগম সেতুকে তার সন্তানদেরসহ যেতে বলে। স্ত্রী সাদিয়া যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোঃ তুহিন ও ফাতেমা আক্তার বালি তাদের চায়ের দোকানের ভিতরে থাকা ফুটন্ত গরম পানি ১নং বিবাদী মোঃ হাবিব ও কুলছুমের মাধ্যমে সেতুকে ছুড়ে মারে। এতে সেতুর কোমর হতে হাটুর উপর পর্যন্ত ঝলশে যায়। স্ত্রীর হাক ডাক শুনে পাশের মানুষজন ও স্বামী জালাল দৌড়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জালাল তার আহত স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে জালাল উদ্দীন নিজে বাদী হয়ে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় মোঃ হাবিব গ্রেফতার হলেও বাকীরা এখনো পলাতক রয়েছে।
বাদী জালাল উদ্দীনের বক্তব্যে জানা যায়, আমার শাশুড়ির আকস্মিক অসুস্থতার খবর পেয়ে রাত বারোটার দিকে স্ত্রীকে তাদের বাড়িতে পাঠাই। যাওয়ার সময় শাহ আলমের দোকানের সামনে গেলে আমার স্ত্রীর শোর চিৎকার শুনতে পাই। আমি ও আশে পাশের লোক দৌড়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আমার স্ত্রীর গরম পানিতে অঙ্গ ঝলসানো দেখে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। ইমারজেন্সিতে গেলে তাকে ভর্তি করানো হয়। মামলায় উল্লেখিত বিবাদীরা আমার পরিবারের সাথে পর্ব শত্রুতা করে আসছে, কারন তাদের মধ্যে ফাতেমা আক্তার বালির কাছে রাবেয়া মুন্নি মেরী টাকা পেতো, সেই ষ্ট্যাম্পের স্বাক্ষী ছিল আমার স্ত্রী। সেই হিসাবে তারা আমার স্ত্রীকে স্বাক্ষী দিতে বাধা দিলে, আমার স্ত্রী তাতে রাজী হয়নি। এতে তারা ক্ষিপ্র হয়। আর এই ঘটনা থেকেই এই জঘন্য ঘটিয়েছে এই সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকগুলো। আমার স্ত্রী ফুটন্ত পানি মারার সময় আমার অভিযুক্ত বিবাদীদের দেখেছে।
এ বিষয়ে খুলশী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নুরুল ইসলাম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। সব আসামীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: