নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদরাসা শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সারথী বলে মন্তব্য করেছেন দারুল উলুম কামিল মাদরাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে ) সকালে দারুল উলুম কামিল মাদরাসা হতে মেডিকেল, প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উক্ত মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সুজন বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে। মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে সংযুক্ত করে বর্তমান সরকার। এর পর পরই মাদরাসা শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন হতে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ফলাফল সন্তোষজনক হতে শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় দারুল উলুম কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ফলাফলেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মূলত গভর্ণিং বডির নিয়মিত তদারকি, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ফলাফলের এ পরিবর্তন বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এখন মাদরাসা শিক্ষার্থীরাও মেডিকেল, প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে যা এক সময় ছিল কল্পনারও অতীত।
এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দাখিল পরীক্ষার্থীরাও এবারের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। এর সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর একাগ্রতা এবং ঐকান্তিক সহযোগিতার কারণে। মাদরাসা শিক্ষায় বরাদ্দ এখন আগের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পাশাপাশি নতুন নতুন আধুনিক ভবন, আইসিটি ল্যাব, আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের যোগান দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। শিক্ষা মন্ত্রীও এক্ষেত্রে সব রকমের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে। আর এতেই কাংখিত ফলাফল হচ্ছে বলে যোগ করেন তিনি। গর্ভনিং বডির সভাপতি আরো বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে সরকারের ধারাবাহিকতার ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নিত্য নতুন উদ্ভাবনী কর্মপন্থা প্রণয়নের ফলে শিক্ষার হারও আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে মফস্বলের শিক্ষার্থীরাও এখন শহরের শিক্ষার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে ভালো ফলাফল করছে। তাই জ্ঞান অর্জনের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। যেসব বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে সেসব বিভাগের শিক্ষকদেরও ইনসেনটিভ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া মাদরাসা থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আলিম বিভাগের ভর্তি ও ছয় মাসের বেতন মওকুফের ঘোষণা দেন তিনি।
দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্রেষ্ট এবং মেডিকেল, প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত মাদরাসার সাবেক কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেষ্ট এবং আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে উৎসাহ প্রদানের ফলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও ভালো ফলাফলে এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন খোরশেদ আলম সুজন।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মুহসিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক ফরিদুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কোতোয়ালি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়ন্ত বাড়ৈ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাদরাসার বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।