সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও:
মেতে উঠি আনন্দে, ফিরে যাই শৈশবে- এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী তমিজিয়া ইসলামিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসার দাখিল ২০০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এক মিলনমেলা ও প্রীতি মিনিবার ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দাখিল পাশের দীর্ঘ ১৯ বছর পর এক বনভোজনের মাধ্যমে বন্ধুরা কক্সবাজারে একত্রিত হন। ব্যস্ত জীবনে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা আজকাল তেমন হয়েই ওঠে না। ঠিক সেই কথা মাথায় রেখে বন্ধুদের সঙ্গে যাতে একে অপরের দেখা হয়, ফেসবুকের মাধ্যমে সে সুযোগ সৃষ্টি করে দেন ২০০৪ ব্যাচের কয়েকজন বন্ধু।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডলফিন পয়েন্টে মিলনমেলা ও মিনিবার ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকা বন্ধুরা একে অপরকে পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। খোঁজ নেন পরিবার-পরিজনের। যেখানে এই সাবেক শিক্ষার্থীরা শৈশবের উৎসবে মেতে ওঠেন।
এই দীর্ঘ ১৯ বছরে ২০০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিভিন্নজন নানান পেশায় চলে গেছেন। এদের মধ্যে অনেকে ডাক্তার, সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক অফিসার, কেউবা আবার শিক্ষক কিংবা ব্যবসায়ী। কেউ বা আবার প্রবাসী। কিন্তু ‘বন্ধুত্বের বন্ধনে একসঙ্গে রব চিরজীবনে’ এ শ্লোগানে সবাই যেনো এদিন একাকার হয়ে যান। পরিচয় সবার যেনো এক, সেটা হলো ‘আমরা বন্ধু’।
মিলনমেলার মূল আয়োজক ছিলেন নুরুল আজিম ও রবিউল হাসান। গত ক’বছরের ব্যবধানে দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার পাশাপাশি এবং বিদেশে অবস্থান করা এসব বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একে অপরকে খুঁজে বের করেন। পরবর্তীতে কয়েকটি ছোট ছোট কর্মসূচির মাধ্যমে প্রথমে তারা একত্রে মিলিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে তমিজিয়া ইসলামিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসার ২০০৪ ব্যাচের অর্ধশতাধিক বন্ধু গ্রুপে সংযুক্ত হন। এভাবেই একে অপরকে খুঁজে বের করে বন্ধুত্বের এক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে খুটাখালী থেকে মোটরসাইকেল করে বন্ধুরা যাত্রা করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।সেখানে উপস্থিত হয়ে সবাই যেনো ১৯ বছরের আগের মাদরাসা জীবনের স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠেন। এদিন বন্ধুদের মিলনমেলা সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি চলে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি সমন্বয়ে এক ব্যতিক্রমী আলোড়নের সৃষ্টি করে প্রীতি মিনিবার ফুটবল ম্যাচ। ২ টি দলে বিভক্ত হয়ে কলাতলী সায়মন বীচ পয়েন্টে বসে ফুটবলের ওই আসর। তন্মধ্য ‘এ’ দলের দলনায়ক ছিলেন আবু তাহের। তার পক্ষে জসিম উদ্দিন, মোঃ জসিম উদ্দিন, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ হোছাইন, মোহাম্মদ সাঈদ। ‘বি’ দলের দলনায়কের দায়িত্ব পালন করেন জিয়াউর রহমান। তার পক্ষে নুরুল আজিম, মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাকিল, মনিরুল ইসলাম, আতাহর ইকবাল বাহার ও জয়নাল আবেদীন খেলায় অংশ নেন।