কক্সবাজার অফিস :
চলছে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে কালবৈশাখীর প্রভাবে সর্বত্র গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে দমকা হাওয়া। কখনো কখনো তীব্রবেগে ঝোড়ো হাওয়া। ফলে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নগন্য।
সরেজমিনে কক্সবাজার পৌরসভার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও হাশেমিয়া কামিল মাদরাসা, সদর উপজেলার খুরুশকুল উচ্চ বিদ্যালয়, চৌফলদন্ডির দক্ষিণ রাখাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌফলদন্ডি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এসব কেন্দ্রে দু’একজন ভোটার ভোট দিতে আসছেন, আবার অনেক কেন্দ্রে কোনো ভোটারই চোখে পড়েনি। কেন্দ্রগুলোর কোনোটিতেই ভোটারদের লাইন নেই। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বসে, দাঁড়িয়ে থেকে অলস সময় পার করছেন। সকাল আটটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত ঘুরে এই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করেছেন প্রার্থী, তাদের কর্মী ও পোলিং এজেন্টদের।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার (মোটরসাইকেল) এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান (আনারস)।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন দুইজন। এঁরা হলেন- কক্সবাজার সিটি কলেজের শিক্ষক
ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর চম্পাউদ্দিন (কলসি)।
এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যেই রশিদ মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কক্সবাজার পৌরসভা এবং সদর উপজেলার ঝিলংজা, পিএমখালী, খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী- এ পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে সদর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৯৯৬ জন। ভোটকেন্দ্র ৮২টি। পৌরসভার ভোটাররা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কক্সবাজার পৌরসভার ভোটার রয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৭৭।