ই-পেপার | শনিবার , ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেই ভয়াল রাতের কথা ভোলেনি উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ

মোঃ আলমগীর আকাশ,কক্সবাজার:

কক্সবাজার উপকূলের লোকজন এখনো ভোলেনি ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের বর্বরতা। দিনটি এলেই যেন শোকের ছায়া নেমে আসে উপকূলের স্বজন হারানো পরিবারগুলোতে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় কক্সবাজারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়।

ওই দিন এক মহাপ্লাবনকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস লণ্ডভণ্ড করে দেয় জনপদ।২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা সে ঘূর্ণিঝড়ের উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। ওই জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়।

ওই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংশ হয়ে গেছিল অনেক কৃষকের ফসল ও জমি, লাখ-লাখ গবাদি পশু। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ডলার। ওই সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভোলা, হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। যদিও এ ঘূর্ণিঝড়ের ৩৩ বছরেও সেসব উপকূলীয় এলাকা এখনো অরক্ষিত।

সেদিন রাত ১০টার পর ১০ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতায় সাগরের পানি মুহূর্তেই ধেয়ে আসে লোকালয়ে। জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলায় ওই রাতে অনেক মা,বাবা,ভাই,বোন,সন্তান, স্ত্রী হারায় স্বামীকে। কোথাও কোথাও পরিবারের সকল সদস্য মারা গেছে। ২৯ এপ্রিলের সে ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে আসে বারংবার। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। ওই রাতের ভয়াবহতা যেন দীর্ঘস্থায়ী এক ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে বাংলাদেশের মানুষের মনে, বিশেষ করে কক্সবাজার জেলায়।

৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মা, বাবা, চাচা, ও দাদি হারানো পরিবার গুলো বলেন, ২৯ এপ্রিলের দিনটি আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক।

উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ আব্দুর রহমান বদি এমপি বলেন, এপ্রিল মাসটি উপকূলবাসীদের জন্য কষ্টদায়ক দিন। ২৯ এপ্রিল কক্সবাজার উপকূলে মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। আমি সব শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আশা করি ভবিষ্যতে উখিয়া টেকনাফের উপকূল শতভাগ সুরক্ষিত হবে ইনশাআল্লাহ।