বাবুল হোসেন বাবলা,চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু বাঙালি জাতি সত্ত্বার নয়, সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের আবেগ অনুভূতির নাম। দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম এই সংগঠনটি সারাবিশ্বের সকল মুক্তিকামী জাতির পথচলার সাহসী ঠিকানা।
আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে সাধারণ মানুষের সাথেই ছিল এবং জনগণই তার ক্ষমতার উৎস। ১৯৭১ সালে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
এখনও যদি আমরা দলীয় ঐক্যের সুদৃঢ় ভিত্তিকে শক্তিশালী করে সমগ্র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে শেখ হাসিনা অবশ্যই ধারাবাহিকভাবে ৪র্থ বারের মত প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন এবং পৃথিবীর কোন শক্তি নেই শেখ হাসিনা ও নৌকার বিজয়কে ঠেকাতে পারে।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে চত্বরে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আনন্দ র্যালী পূর্ব এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মার্কিনিরা আবারও বাংলাদেশের উপর লোলুপ দৃষ্টি ফেলেছে তাই শেখ হাসিনা তাদেরকে যথার্থ চপেটাঘাত করেছেন। তিনি বাংলাদেশের এক ইঞ্চি পরিমাণ জমি কোন পরাশক্তির কাছে বিক্রি না করার যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন তা সত্যিকার অর্থেই গর্বিত বাঙালির আকাক্সক্ষার প্রতিফলন। বঙ্গবন্ধু অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সেন্টমার্টিন দিবে নৌ ঘাটি নির্মাণ ও সামরিক স্থাপনার বন্ধক দিতে রাজি ছিলেন না বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনা এই মার্কিনি প্রলোভনকে প্রত্যাখানের হিম্মত রাখেন। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি এটাই আমাদের একমাত্র অহংকার।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ৭৪ বছরের ইতিহাস ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। এদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক সাধিকার আন্দোলনসহ সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াইগুলোতে আওয়ামী লীগই নেতৃত্ব দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ৬ দফাকে বঙ্গবন্ধু এক দফায় পরিণত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হয়। এই বাংলাদেশেও যা কিছু অর্জিত ও সফলতা এসেছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য অ্যাড. কামাল উদ্দীন আহমেদ, কামরুল হাসান বুলু, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, আব্দুল লতিফ টিপু, হাজী রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ।
পরে আনন্দ র্যালি পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বর থেকে বের হয়ে স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এর আগে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হকসহ যেসকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ ও প্রয়াত হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাজী মো. হোসেন।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪