ই-পেপার | মঙ্গলবার , ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাজেকের পাহাড়ি খাদে ট্রাক, নিহত বেড়ে ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ছয়জন।

ইতোমধ্যে এ ঘটনায় হতাহত ১০ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া পাঁচজনের মরদেহ সাজেক থানায় আছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাজেক থানার উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিঘরি এলাকায় শ্রমিকবাহী ড্রাম ট্রাক খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমান্ত সড়কের কাজ করতে মালামাল নিয়ে ও শ্রমিকরা উদয়পুরে যাচ্ছিল। এ সময় ৯০ ডিঘরি নামক এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে একটি ট্রাক ও জিপে করে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার দূরত্বের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক আরও চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছয়জনকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের আব্দুল মোহন (১৬) ও বাবু (২০) এবং গাজীপুরের সাগর (১৬) ও অলি উল্লাহ (৩৫)।

আহতরা হলেন মো. লালন (১৭), মোবারক (৩২), আহির উদ্দিন (৪০), সামিউল (১৯), আহির উদ্দিন (৪০), জাহিদ হাসান (২৪) ও মো. লালন (২৪)। তবে সাজেক থানায় থাকা নিহত পাঁচজনের পরিচয় জানা যায়নি।

হতাহতের পরিবহন করা জিপ (চাঁদের গাড়ি) চালক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি ফেরার পথে হতাহতদের রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখি। পরে আমার গাড়িতে তিনজন এবং ট্রাকে করে আরও সাতজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।

ঘটনায় কম আহত হওয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. লালন বলেন, গাজিপুর থেকে আমরা প্রায় ১৫জন দেড় টন ওজনের পাইলিং মেশিনসহ সীমান্ত সড়কের কাজ করতে যাচ্ছিলাম। এ সময় পাহাড় থেকে নামতে গিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এরপর আর কিছু বলতে পারি না।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাগর দেব জানান, হাসপাতালে ১০ জনকে আনা হয়। তারমধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল সাজেক থেকে আরও অন্তত ৫ কিলোমিটার দূরে। এ কারণে উদ্ধার করে চিকিৎসা পেতে বিলম্ব হয়েছে। আমরা ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।