ই-পেপার | শনিবার , ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শমশেরনগর হাসপাতালে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা অমরাবতির নগদ এক লক্ষ টাকা ও বৃক্ষের চারা প্রদানের ঘোষণা

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হাসপাতালে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা অমরাবতি নগদ এক লক্ষ টাকা ও হাসপাতাল কমপ্লেক্স এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় বৃক্ষের চারা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) পূর্ব লন্ডনে শমশেরনগর হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটি ইউকে কর্তৃক আয়োজিত হাসপাতালের রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি ও আউটডোর কার্যক্রম শুরুর প্রেক্ষিতে বিলেত প্রবাসী দাতা সদস্যদের সাথে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে অন্যতম বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনের শিল্পনগরী বার্মিংহামভিত্তিক বাঙালিদের আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন অমরাবতির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট শেবুল চৌধুরী।

হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কবি ও গবেষক সৈয়দ মাসুমের অনুরোধে ক্যান্সার আক্রান্ত শরীর নিয়েও শেবুল চৌধুরী বৈঠকে যোগদান করেন। বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার কাউন্সিলর জাহেদ চৌধুরী।

শেবুল চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে হাসপাতালের জন্য নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন এবং তাঁর সংগঠন অমরাবতির মাধ্যমে হাসপাতাল কমপ্লেক্স এলাকার জন্য যত ধরনের বৃক্ষ চারার প্রয়োজন হবে তা সরবরাহ করবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

শমশেরনগর হাসপাতাল নির্বাহী কমিটির সভাপতি শিল্পী সেলিম চৌধুরী, প্রধান পলিসি ম্যাইকার পূবালী ব্যাংকের সাবেক সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক অধ্যক্ষ সাইফুর রহমান কামরান, নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, ইউকে কমিটির আহবায়ক ময়নুল ইসলাম খান ও নির্বাহী কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কবি ও গবেষক সৈয়দ মাসুম সহ হাসপাতালের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গরা অমরাবতির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেবুল চৌধুরীর এই ঘোষণায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা সকলেই শেবুল চৌধুরীর পরিপূর্ণ রোগমুক্তি কামনা করেন এবং তিনি দ্রুত সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে সমাজ ও জাতির জন্য কাজ করে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ব্রিটেনে বাংলাদেশের জন্য মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা প্রতিষ্ঠা এমনকি স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করার জন্য ফান্ড রাইজিংয়ের জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান থাকলেও অমরাবতিই একমাত্র সংগঠন, যারা দেশে বৃক্ষরোপন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে অনুদান গ্রহণের চেষ্টা করে এবং বাঙালি কমিউনিটির কাছ থেকে ফান্ড সংগ্ৰহ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠান সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দশ লক্ষাধিক ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা লাগিয়েছে। এছাড়াও সংগঠনটি প্রতিবছর পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে অমরাবতির আন্তর্জাতিক মিলন মেলায় নিয়ে এসে বিশেষ এওয়ার্ড প্রদান করে থাকে। যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এমনকি মধ্যপ্রাচ্য মিলিয়ে প্রায় হাজারোধিক মানুষ এই সংগঠনের সাথে জড়িত।