পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দন্ত চিকিৎসক সৈয়দ এম এ মুছার চেম্বার থেকে গত ২২ এপ্রিল ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যুবক সাখাওয়াত হোসাইনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার। সৈয়দ এম এ মুছার চেম্বারে একেক সময় বিভিন্ন মহিলাদের নিয়ে এসে অনৈতিক কাজ করার খবর তার দুই স্ত্রীদের জানিয়ে দেওয়ায় কাল হয়ে দাড়ালো সাখাওয়াত হোসাইনের জীবন । সাখাওয়াতের স্মার্ট ফোনে ছৈয়দ এম এ মুছার অনৈতিক কাজের ভিডিও ফুটেজও ছিল যা তার দুই স্ত্রীদের কাছে পাঠাবে এমন ভয় সন্দেহের কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মানববন্ধনে এসব কথা সাংবাদিকদের তুলে ধরেন নিহতের বড় ভাই আসফাক । নিহতের বড় ভাই আরও বলেন, যে মোবাইলটিতে তার অনৈতিক কাজের ভিডিও ছিল মোবাইলটি খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা, নিশ্চয়ই ঐ মোবাইল হত্যাকারী গায়েব করে ফেলছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নিহত সাখাওয়াতের হত্যাকারীর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি আমিন শরীফ মিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নিহতের বড় ভাই বলেন, সৈয়দ এম এ মুছার স্ত্রীরা আমার ভাইকে প্রায় সময় ফোন করে তাদের স্বামী চেম্বারে আছে কিনা খোঁজ নিত, আমার ভাই সহজ সরল ভাবে মুছা চেম্বারে না থাকলে তা বলে দিত স্যার চেম্বারে আসেনি। মুছা চেম্বারে কোন মহিলা নিয়ে আসলে তা স্ত্রীদের জানাতে বলতো।
চেম্বারে না থাকা এবং বিভিন্ন সময়ে চেম্বারে মহিলাদের নিয়ে এসে অনৈতিক কাজ করার কথা তাদের স্ত্রীদের জানানোর কারনে তার দুই স্ত্রীর সাথে প্রচুর ঝগড়া হতো, কেন তার স্ত্রীদের তথ্য দিলো একথা বলে আমার ভাইকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিত। একদিন আমাদের বাড়িতে মুছা এসে হুমকি দিয়ে যায়।
ঘটনার দিন আমার ভাই চেম্বারে যাওয়ার সময় মাকে বাড়ির জন্য কি কি বাজার লাগবে জেনে যায় এবং চেম্বার থেকে আসার সময় বাজার নিয়ে আসবে বলে মাকে আশ্বস্ত করে যায়।
নিহতের ভাই বলেন যে ছেলেটি বাড়ী ফেরার সময় মাকে বাজার নিয়ে আসবে বলে আশ্বস্ত করে সে কেন আত্নহত্যা করবে?
এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড এবং ছৈয়দ মুছার অনৈতিক কাজের প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের হত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাই।
স্থানীয় প্রতিবেশী শরীফুল ইসলাম জানান, সাখাওয়াত নম্র ভদ্র একজন ছেলে, তার আচরণে আমরা প্রতিবেশীরা মুগ্ধ, সে মোবাইল গেইম বা ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট করেনা, আমার মনে হয় তার ফেসবুক আইডি আছে কিনা সন্দেহ। এমন একজন ছেলে কেন আত্নহত্যা করবে এটি পরিকল্পিত হত্যা, যারা হত্যার সাথে জড়িত তাদের শাস্তি দাবী করছি।
পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে হত্যা নাকি আত্নহত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে বলে জানান পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস।