ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটিয়ায় প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে বাকেট যুক্ত দুধ দোহন মেশিন হস্তান্তর করছেন এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া :

 

প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

 

মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির প্রায় ৩০টির মত স্টল বসে। প্রদর্শনী মেলার আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল প্রাণি সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্রগ্রাম ১২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযােদ্ধা মােতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি,পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলা উদ্দিন ভূঞা জনীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আইয়ুব বাবুল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু,মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার মােঃ মহিউদ্দিন বীর মুক্তিযােদ্বা সাবেক জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান,চেয়ারম্যান সরোজ সেন নান্টু,চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান,উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ও সদস্য সচিব,মো:ইলিয়াস, খামারী এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবছার রাসেল,পটিয়া প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: বৃষ্টি বড়ুয়া, মধু সূধন মহন্ত জীবন, শংকর মন্ডল, নির্মল কান্তি বিশ্বাস, মমিতা সেন,আনোয়ার হোসেন,সিদ্দিক আহমদ,পার্থ বড়ুয়া,আশিষ দাশসহ পটিয়া উপজেলা এলএসপি বৃন্দ।

এতে এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দেশে বিভিন্ন জাতের পশু পালনের বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রশিক্ষণের ফলে ব্যাপক সফলতা অর্জিত হয়েছে ।

 

হাঁস-মুরগী, ডিম, দুগ্ধ উৎপাদনেও আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছি।এর মাধ্যমে দেশে বেকারত্বের হারও কমছে। তাই প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষ যাতে উন্নত প্রজাতির গবাদিপশু ও পাখি লালন-পালনে উদ্বুদ্ধ হয় সেই লক্ষে কাজ করে যেতে হবে।

 

আর এ জন্য এসব প্রদর্শনীর কোন বিকল্প নেই।তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে খামারের উন্নয়ন ও খামারীদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

 

এতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ খামারীকে ১০ টি বাকেট যুক্ত দুধ দোহন মেশিন হস্তান্তর করা হয়।