কক্সবাজার অফিস :
কক্সবাজারের উখিয়ায় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সজল হত্যামামলার প্রধান আসামি বাপ্পি (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি এলাকা থেকে ওই ডাম্পার ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার বাসিন্দা। বিকালে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুপুরে চট্টগ্রাম শহর থেকে বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তাকে কক্সবাজারে নেওয়া হচ্ছে। বাকি বিস্তারিত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে উখিয়ায় সংরক্ষিত বনে পাহাড় কাটার খবরে অভিযান চালিয়ে মাটি পাচারকারীদের ডাম্পার ট্রাকের চাপায় নিহত হন বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০)।
সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিট অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।এ ঘটনায় আহত হন বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭)। তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মঞ্জুরের ছেলে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বন বিভাগের উখিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, “গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচারের খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে সেখানে যান বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদ। তিনি পাহাড় কেটে মাটি পাচারে ব্যবহৃত একটি ডাম্প ট্রাক আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে চাপা দিয়েই সেটি পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাজ্জাদ।”
বন কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় ১ এপ্রিল ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেন মো. শফিউল আলম।এর আগে এই মামলার ৫ নম্বর আসামি হরিণমারা এলাকার ছৈয়দ করিম (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরা-র কক্সবাজার জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী ঘাতক বাপ্পিকে গ্রেপ্তারে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শুধু এক-দুইজন নয়, মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’