ই-পেপার | শনিবার , ১লা জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ায় পাহাড়ের মাটিভর্তি ৪টি ডাম্প ট্রাক জব্দ, আটক ৪

কক্সবাজার অফিস :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাতের অন্ধকারে সংরক্ষিত বন বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করার দায়ে ৪টি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করেছে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

 

৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজিবাজার এলাকা থেকে এসব গাড়িগুলো জব্দ করা হয়।

 

জানা গেছে, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের রমিজপাড়া এলাকা থেকে গত দু’মাস ধরে রাতের আধারে পাহাড়ি লাল মাটি কেটে আসছিল একটি চক্র।

 

৫ এপ্রিল রাত আড়াইটায় ছদ্মবেশে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেলেন ইউএনও। তখন দুপাশ থেকে আনসার সদস্যরা অস্ত্র তাক করলেন ততক্ষণে ড্রাইভারকে রেখে পালিয়ে যান অন্যরা। একে একে জব্দ হলো ৪টি মাটি ভর্তি ডাম্প ট্রাক। আটক হয় ড্রাইভারসহ ৪ জন।

 

আটককৃতরা হলেন, টইটং সোনাইছড়ি মাঝের পাড়া এলাকার জামাল হোসেনের পুত্র আরশাদুল ইসলাম, টুনু মিয়ার পুত্র আলী হোসেন, বটতলি এলাকার সেনায়েত আলির পুত্র আহমদ হোছেন ও হিরাবনিয়া এলাকার নুরুল আলমের পুত্র আবুল বাশার।

 

গভীর রাতে এ অ়ভিযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি পেকুয়া যোগদানের পর থেকে মানুষের অসংখ্য অভিযোগ ছিল পাহাড় খেকোরা পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে।

 

একই সাথে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। তারই কারণে আমরা গত ১৫ দিন ধরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এখানে যেসব করাতকল রয়েছে ইতোমধ্যে ১৮টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরো কয়েটা আছে সেগুলো বন্ধ করা হবে।

 

পাহাড়ে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ইনফর্মার লাগিয়েছি,এখন থেকে পেকুয়ার কোথাও পাহাড় কাটার খবর আসলেই রাত হউক দিন হউক আমরা অভিযানে যাচ্ছি।

 

পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বন বিভাগের করণীয় কি এ বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের যে রকম দায়িত্ব তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে পাহাড় খেকোরা সুযোগ সুবিধা পেয়ে যায়।

 

তিনি বলেন,বনাঞ্চল রক্ষায় সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নৈতিক দায়িত্বের সংমিশ্রণ গঠিয়ে এটি আমার একটি যুদ্ধ এবং এ ধরণের যুদ্ধ চলবে।

 

পাহাড় কাটার পিছনে মূলহোতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, স্পটে আমার গেলে শুধুমাত্র পাহাড় কাটার শ্রমিক,ট্রাক ড্রাইভার ও হেলফারদের পাওয়া যায়। মূলহোতা যারা তারা কিন্তু বাসা বা অফিসে বসেই সব নিয়ন্ত্রণ করে। আটকৃতরা সব ইনফরমেশন দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই পরিবেশ আইনে মামলা দিব।