সিএনএন বাংলা২৪,গাজীপুর:
গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রীসহ তার নানিকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৮ জুন) দুপুরে উপজেলার বাঘের বাজার শিরিরচালা মিনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর দগ্ধরা হলেন- শিরিরচালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৩) ও তার নানি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের ইউনুস তালুকদারের স্ত্রী বেবী বেগম (৫৫)। সানজিদা স্থানীয় হাজী নুরুল ইসলাম মডেল একাডেমির ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
দগ্ধের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সানজিদার মা মারা গেলে তার বাবা শফিকুল ইসলাম মোছা. মনিরা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। মনিরা বেগমের প্রথম পক্ষের ছেলে শুভ মিয়া কিছুদিন আগে একটি মেয়েকে নিয়ে শফিকুলের বাড়িতে আসেন। পরে সানজিদা এ ঘটনাটি তার বাবা শফিকুলকে বললে তিনি শুভকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় স্ত্রী মনিরা বেগমও শফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে চলে যান এবং ১০-১২ দিন পর শফিকুলকের কাছে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন।
এদিকে শফিকুল তার সন্তানদের দেখাশুনার জন্য প্রথম পক্ষের শাশুড়ি বেবী বেগমকে নিয়ে আসেন। আজ দুপুরে সানজিদা তার নানির সঙ্গে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে শুভ তার সঙ্গী সাব্বিরকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বোমা সাদৃশ্য বস্তুতে পেট্রোল মিশিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে সানজিদা ও বেবী বেগমের ওপর নিক্ষেপ করলে তারা দগ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দগ্ধ দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: