ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছিনতাই করা মাল্টার জাহাজ নিয়ে ১২ জলদস্যু দখল করে এমভি আবদুল্লাহ: ইইউ নেভি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর দখল নিতে অপর একটি ছিনতাই করা জাহাজ ব্যবহার করেছে সোমালি জলদস্যুরা। এমনটাই অনুমান করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভালফোর্স বা ইইউন্যাভফর। সংস্থাটি জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহে অন্তত ১২ জন জলদস্যু উঠেছে।

 

গত বৃহস্পতিবার ইইউন্যাভফর বিষয়টি জানিয়েছে। সংস্থাটির অনুমান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিনতাই হওয়া মাল্টার পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার রুয়েনকে ব্যবহার করেছে জলদস্যুরা। ব্রিটিশ ম্যারিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলছে, এমভি আবদুল্লাহকে যখন ছিনতাই করা হয়, তখন রুয়েন মাত্র ২৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং পূর্বদিকেই যাচ্ছিল।

 

সোমালি জলদস্যুরা কয়েক দশক ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে ২০১৮ সালের দিকে এসে কিছুটা স্তিমিত হয়ে যায়। এরপর গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষ দিকে এসে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠে তারা এবং মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েনকে ছিনতাই করে।দস্যুদের কোনো সাড়াশব্দ নেই, উদ্বেগ বাড়ছে ২৩ নাবিকের পরিবারেদস্যুদের কোনো সাড়াশব্দ নেই, উদ্বেগ বাড়ছে ২৩ নাবিকের পরিবারে ইইউন্যাভফোর জানিয়েছে, রুয়েন থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করার অপারেশন পরিচালনার অর্থ হলো, জলদস্যুরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, সাধারণত তারা বেশি সক্রিয় হয়ে উঠলেই এ ধরনে কৌশল ব্যবহার করে থাকে।

 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলদস্যুবিরোধী কার্যক্রম চালানো এই সংস্থা আরও বলেছে, বিভিন্ন ভিজুয়াল তথ্য থেকে অনুমান করা হচ্ছে অন্তত ১২ জন জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহে উঠে ছিনতাই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। এ বিবৃতিতে ইইউন্যাভফোর বলেছে, ‘এটি সম্ভব যে, ছিনতাই হওয়া জাহাজটিতে ছিনতাইকারী যে নৌযান থেকে গেছে সেটি এমভি রুয়েন।’

 

অ্যামব্রেও একই ধরনের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এটি সন্দেহ করার যৌক্তিক কারণ আছে যে, বাণিজ্যিক জাহাজটিতে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে মাদারশিপ হিসেবে যে নৌযান ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও একটি ছিনতাই করা জাহাজ।

 

জিম্মি জাহাজের কাছাকাছি টহল দিচ্ছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও উড়োজাহাজজিম্মি জাহাজের কাছাকাছি টহল দিচ্ছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও উড়োজাহাজ এমভি রুয়েনের ছিনতাই হওয়ার ঘটনা ২০১৭ সালের পর সোমালি জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় অভিযান। সেই সময়টাতে এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীগুলো জলদস্যুবিরোধী যে অভিযান পরিচালনা করছিল তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

 

অ্যামব্রে জানিয়েছে, এমভি রুয়েনের মালিকপক্ষ ছিনতাইকারীদের কোনো মুক্তিপণ দেয়নি। ফলে জাহাজটিতে থাকা ১৭ জন ক্রুর মধ্যে মাত্র একজন এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন। তিনি অসুস্থ থাকায় মূলত চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিরা এখনো জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। তবে তাঁরা কোন অবস্থায় আছেন কেউই জানে না।