বিশেষ প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীতে বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আহত ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। নিহত ইব্রাহিম খলিল উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আরব আলী সারেং বাড়ির সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত রবিবার বিকেলে বাড়ির পাশের বোনের বাগানে পাতা কুড়াতে যান ইব্রাহিম খলিল। এ সময় বড় ভাই মোশারফ হোসেন সবুজ তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের কথাকাটি হলে নিহতের স্ত্রী নাসিমা আক্তার স্বামীকে ঘরে নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর সবুজ ঘরের সামনে খলিলের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীর চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে গেলে ভাসুর সবুজ আমাকেও পেটানো শুরু করেন। পরে আমি প্রতিবেশীদের সাহায্য চাই। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দেখি ভাসুর সবুজ তখনও আমার অজ্ঞান স্বামীকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। পরে প্রতিবেশীরা ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান।
নিহতের প্রতিবেশেী জসিম উদ্দিন বলেন, গত বছরও সবুজ ভাই খলিল ও তার স্ত্রীকে মারধর করেন। এলাকবাসী তাদের সমঝোতা করলেও সবুজ কারো কথা আমলে নেননি। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অবস্থান করা নিহতের ভাগনে নুরুল ইসলাম রানার সাথে মুঠোফোনে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি জানান, লাশের ময়নাতদন্ত কখন হবে সেটা চিকিৎসকরা তাদের এখনো জানাননি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় পলাশ বলেন, এ ঘটনা পুলিশকে কেউ অবহিত করেনি। তারপরও খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।