ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন বিজিপির আরও ৫ সদস্য

কক্সবাজার অফিস :

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের জেরে রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে নাফনদী অতিক্রম করে কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও পাঁচজন সদস্য।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বিজিপি সদস্যরা নাফনদ অতিক্রম করে টেকনাফের সাবরাং উপকূলে পৌঁছালে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন।

 

এ সময় বিজিপি সদস্যরা আত্মসমর্পণের কথা বলে আশ্রয় চান। বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়ে যান।

বিজিপির পাঁচ সদস্য আশ্রয় নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেন, সবাইকে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সবার (বিজিপি) নাম-ঠিকানাসহ পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের একজন ইউপি সদস্য জানান, বেলা ১১টার দিকে বিজিপির পাঁচজন সদস্য একটি নৌকা নিয়ে সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ এলাকায় যান। সদস্যদের হাতে ছিল ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পরণে ছিল উর্দি-প্যান্ট। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নৌকাসহ বিজিপি সদস্যদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় বিজিপি সদস্যরা হাত তুলে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা এবং আশ্রয়ের কথা জানালে বিজিবি সদস্যরা সবাইকে নিরস্ত্র করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। বিকেলে পাঁচ বিজিপি সদস্যকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।

সীমান্তে একাধিক সূত্রে জানা যায়, এর আগেও গত শনিবার তিন দফায় নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফে আশ্রয় নেন বিজিপির ৪০ জন সদস্য। পরের দিন রোববার আশ্রয় নেন বিজিপির আরও ৮৮ জন। সব মিলিয়ে ১২৮ জনকে হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। গত রোববার থেকে ওই বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।