ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় কাটার ধুম,জড়িয়ে পড়েছে সমাজসেবা অফিসের এক কর্তাও,

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কয়েকটি স্থানে চলছে পাহাড় কাটার ধুম। ইউনিয়নের মন্ডলিয়া ঘোনা নামক এলাকায় পাহাড় কাটছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের এক মাঠ কর্মী। স্থানীয় মোজাফ্ফর আহমদ এর মেয়ে শাহানাজ বেগম সাজু ও মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সমাজসেবা অফিসের মাঠ কর্মী আশরাফ আলী। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।

গত কয়েক বছর আগে এ সরকারি খাস জমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে আপন ভাই বোনের মধ্যে সংঘর্ষে ছোট ভাই শাহ আলম নিহত হয়। সম্প্রতিও তাদের মধ্যে আবারও এ জমি নিয়ে সংঘর্ষে আশংকা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওই ওয়ার্ডের প্রভাবশালী শাহানাজ বেগম সাজু ও মমতাজ বেগমকে সাথে নিয়ে তাদের ভাই আশরাফ আলী সরকারি সম্পত্তি বেহাত করে বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড়ের চওড়া সমতলে পরিণত করতে এ মাটি কাটার কাজ অব্যাহত রাখেছে।

অপরদিকে একই এলাকার পূর্ব বিছামারা নামক এলাকায় প্রবাসী সাহজান, শব্বির আহমদ ও তাদের পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি স্থানে চলছে পাহাড় কাটার হিড়িক। এছাড়াও একই ওয়ার্ডের মোঃ হোসেন (প্রকাশ কেলা মাছন) তার ঘোনা নামক স্থানে বসতি স্থাপনের জন্য রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করা পাহাড়ে দিন রাত মাটি কাটছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানায়, মোঃ হোসেন সরকারি জায়গা নিয়ন্ত্রণ করে মিয়ানমারের লোকসহ বিভিন্ন জনকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। তারা পাহাড়ের চওড়া বিলীন করে সমতল ভূমি তৈরি করায় পাশ্ববর্তী বাড়ি গুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে হতে পরে পাহাড় ধ্বংসের মত বড় দূর্ঘটনা। মাটি কাটার সাথে জড়িত আশরাফ আলিকে না পেয়ে তার স্ত্রীও একই দপ্তরে কর্মরত আছেন তার কাছে জানতে চাইলে তিনি পাহাড় কেটে বাড়ী নির্মাণের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন।

পাহাড় কাটা মারাত্মক অন্যায় কাজ জেনে-শুনে একজন সরকারি চাকরিজিবী হয়ে এ অন্যায় কাজ করছেন।স্থানীয় পরিবেশবাদী মহলের মতে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রশাসন। স্থানীয়রা পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ পাহাড় কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দায়ী করছেন। প্রশাসন দেখলেও না দেখার ভান করে আছে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়ার কাছ থেকে জানতে চাইলে এসব এলাকার পাহাড় কাটার বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সাংবাদিকদের।