ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘আইনমন্ত্রী-অ্যাটর্নির নির্দেশে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের পেটানো হয়’

আদালত প্রতিবেদক:

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে- মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কাজল সাহেব যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সেই নির্বাচনে আমাদের আইনজীবী ও সাংবাদিক ভাইবোনদের কারা পিটিয়েছিল। তাদের নির্দেশদাতা ছিলেন আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল। আমি আমার মুখের কথা বলছি না। এফআইআর-এ সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ প্রবেশ করে৷

বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কালো পতাকা মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

কায়সার কামাল বলেন, আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চাই কোন মদতে আপনারা আমাদের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পেটাতে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। এই দুজন সুপ্রিম কোর্টকে কলঙ্কিত করেছে। সুতরাং আইনজীবী সমাজ আপনাদের ছাড়বে না।

 

তিনি বলেন, ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ এই শব্দটি আজ শুধু জাতীয়ভাবে নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবে একটি কোডে পরিণত হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি- যারা নিজেদের শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ মনে করেন তারা দয়া করে পদত্যাগ করুন। শপথ নিয়ে কেউ রাজনৈতিক নেতা হতে পারে না। শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ একটি নতুন টার্ম। আপনারা যেহেতু সেই টার্মে নিজেদের অভিহিত করেছেন সেহেতু নিজেরা পদত্যাগ করে অন্তত সুপ্রিম কোর্টকে বাঁচান। এই মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল৷ এ জায়গাকে কলঙ্কিত করবেন না।

 

এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্টের ঈদগাহ ময়দানের পাশের গেট থেকে বের হয়ে প্রধান ফটক পর্যন্ত মিছিল করে।

 

মিছিলে তারা ‘গড়ে তোলো একতা, আইনজীবী জনতা’, ‘দফা এক, দাবি এক- শেখ হাসিনার পদত্যাগ’, ‘বিচারপতি এজলাস ছাড়ো- রাজনীতি করলে মাঠে আসো’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন- ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই- লড়াই করে বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন৷

 

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আইনজীবী ফোরামের অন্যান্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪