সিনিয়র রিপোর্টাির মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী
পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম মির্জাপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে নিয়োগ স্থগিত করেছে নিয়োগ কমিটি।
১৭ফেব্রুয়ারী শনিবার পলাশবাড়ী সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহনের এক ঘন্টা আগে এই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে নিয়োগ কমিটি।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে যানাযায়,প: মির্জাপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আহবান করে অধ্যক্ষ।বিভিন্ন পদের বিপরীতে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী আবেদন পত্র জমা প্রদান করেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ,আ ন ম জাহিদুর রহমান পিয়ন পদে জেনারুল ইসলাম ঠান্ডাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে মোট ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। একই পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে শহিদুল ইসলামের নিকট ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।
এদিকে পরীক্ষার দিন ১৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে প্রার্থীরা টাকা ফেরত চেয়ে অধ্যক্ষ জাহিদুর রহমানকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আটক করে রাখে।
খবরপেয়ে পলাশবাড়ী পৌর মেয়র গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করে নিয়োগ পরীক্ষা চালানোর জন্য অনুরোধ জানান।এসময় অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগের সমুদয় টাকা মেয়রের হাতে ফেরত দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ওই মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি ও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়োগের টাকা ৭ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে অধ্যক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন।
পুরো ঘটনাটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি অবলোকন করেন।পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান যেহেতু অধ্যক্ষ নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জরিত রয়েছে বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে সেহেতু আজকের নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
এদিকে পলাশবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী প: মির্জাপুর দ্বী মুখী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।