ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজস্ব আহরণ বাড়াতে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা :

সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়াতে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের বিকল্প নেই। রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা সম্ভব হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হয়রানিও কমবে। সেই সঙ্গে করজাল আরও সম্প্রসারণ হবে।

গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘আয়কর আইন ২০২৩ : করপোরেট করের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

ডিসিসিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে করদাতার হার অত্যন্ত কম। ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ৪০ লাখ মানুষ কর প্রদান করে থাকে, যা মোটেও কাম্য নয়।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদ্যমান রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা গেলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হয়রানি কমবে। সেই সঙ্গে সম্ভাবনাময় নতুন করদাতাদের এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে করজাল আরও সম্প্রসারিত হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ২০২৩ সালে প্রায় ৪ লাখের বেশি করদাতা ই-টিআইএন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে কর প্রদান করেছেন। এর আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার। অটোমেশন প্রক্রিয়া করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার মুরাদ আহমেদ ব্যবসায়ীদের ই-টিডিএস ব্যবস্থা আরও বেশি হারে ব্যবহারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআইর কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়ুয়া। আরও বক্তব্য দেন এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (ট্যাক্স এডুকেশন) বাপন চন্দ্র দাস।