সিএনএন বাংলা২৪,রাজশাহী:
‘আল্লাহ তুমি রহম করো, আমার জানকে তুমি ফিরিয়ে দাও। আমার ছেলের বাঁচার খবর দাও, আল্লাহ। আর কীভাবে শান্ত হব, আর সময় নেই। সারাটা দিন চলে গেল, এরা (ফায়ার সার্ভিস) আমার ছেলেকে পেলো না।’
এভাবেই রাজশাহীর পদ্মা নদীর পাড়ে নিখোঁজ রিফাত খন্দকারের এক স্বজন আহাজারি করছিলেন। স্বজনকে হারিয়ে কোনো সান্ত্বনাই আসছে না তার। রিফাত খন্দকার রাজশাহী নগরীর দরগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা খাজা মইনুদ্দিনের ছেলে।
পদ্মায় নিখোঁজ অপর শিক্ষার্থী গোলাম সারোয়ার সাইমের বাবা সাইদুর রহমান সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, ‘আমার ছেলের স্কুল পর্যায়ে খেলা ছিল। তারা অনুশীলন করতে এখানে এসেছিল। আমাকে যখন ফোনে কল করে টি-বাঁধে আসতে বলা হয়েছে তখনই আমার জান কেঁপে উঠেছে। তখনই আমার সন্দেহ হয়েছে যে আমার ছেলের কিছু একটা হয়েছে। এখানে এসে শুনছি আমার ছেলে ডুবে গেছে।’
রাজশাহী সদর ফায়ার স্টেশনের মোহাম্মদ হাত্তা সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, নিখোঁজ দুই কলেজছাত্রকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। রোববার সকালে আবারও উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই কলেজছাত্র নিখোঁজ হন। তাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: