ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার (৪) উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

এস এন কায়সার জুয়েল

২০২৩ সালের শেষ কিংবা আগামী ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোটের গুঞ্জন শুরু হয়েছে দেশের সর্বত্র। বইছে ভোটের হাওয়া। চলছে জল্পনা-কল্পনা। ঠিক তেমনিই কক্সবাজার( ৪) ভখিয়া – টেকনাফ আসনে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি,ধরে রাখতে অনড়। দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বিভিন্ন দলের আলোচনায় থাকা মনোনয়ন প্র্যাশীরা। সব খানেই আলোচনা এখন ভোট নিয়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে এখন ভোটের মাঠে। নির্বাচন নিয়ে এখনো দোটানা কাটেনি দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক শক্তি বিএনপির। তবে বসে নেই দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আগামি জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড়ে ধানের শীষের প্রার্থীদের আনাগোনাও চোখে পড়ার মতো। চারদিক ছড়িয়ে পড়েছে ভোটের আমেজ।

 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। ইতোমধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতখ্যাত কক্সবাজারের চারটি আসনকে ঘিরেই নির্বাচনী হাওয়া বইছে। সম্ভাব্য প্রার্থীসহ নির্বাচন নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় বেরিয়ে আসছে কোন দল থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন। কোন আসনে কাকে মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেই হিসাব মেলাচ্ছেন বড় রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও স্থানীয় ভোটাররা। এছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। এলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি থেকে ডজনের অধিক নেতা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চারটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ৪টি পৌরসভা এবং ৭১টি ইউনিয়নে স্ব-স্ব এলাকার ভোটারদের ঘিরে ব্যাপক গণসংযোগসহ নানা কৌশলে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দলীয় প্রতীকের পক্ষে সমর্থন চাইছেন, জানাচ্ছেন নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে স্ব-স্ব দলের পরিকল্পনার কথাও।

কক্সবাজার আসন-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়ার একটি পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ অর্থাৎ সংসদীয় আসনে এটি ২৯৭ নম্বর আসন। দেশের সর্বদক্ষিণের দুটি উপজেলা শহর নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন লাখের বেশি।

১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ও সরকার গঠন ব্যবস্থা দেখে জেলার এ আসনটিকে ভাগ্যবান আসন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ভোটাররা। কেননা প্রতিবারই যে দল সরকার গঠন করে থাকে- উখিয়া-টেকনাফ আসন থেকে ওই দলের টিকিট প্রাপ্ত নেতাই এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন।

এ কারণে এই আসনের ভোটারদের মধ্যে একটি বিশ্বাস কাজ করে যে, এটি হচ্ছে সরকার গঠনের জন্য লক্ষ্মী আসন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি দলীয় প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী নির্বাচিত হন। আর সে দুইবারই বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও ২০০৯ সালে ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুর রহমান বদি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন এমপি বদির সহধর্মিণী শাহিন আক্তার বদি। তখন উল্লেখিত সময়ে চারবারই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশ পরিচালনা করে চলেছে। সে হিসেবে কক্সবাজারের এ আসনকে (উখিয়া-টেকনাফ) ভাগ্যবান আসন বলা হয়ে থাকে।

 

বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ,কক্সবাজার-৪ উখিয়া – টেকনাফ আসনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য যেসব প্রার্থীদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন- আওয়ামীলীগের দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, তার সহধর্মিনী বর্তমান সাংসদ শাহীন বদি, বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারের মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব মনোয়ারা বেগম মুন্নি চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম।

 

বিএনপি থেকে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, তার ছোট ভাই ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ।

 

জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো, মাস্টার এম এ মঞ্জুর । এছাড়াও জামায়াত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল চৌধুরী, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়েতের আমীর নুর আহমদ আনোয়ারী।

 

 

এইচ এম কাদের.সিএনএন বাংলা২৪