মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বড় জাংছড়ি মুরার কাছা গ্রামে বসত ভিটার সীমানার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দায়ের কুপে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছে।
তার নাম সালেহা বেগম(৩৫)। সে বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
স্থানীয়রা জানান,মৌলানা জাফর আলম ও আব্দুল হাকিম এর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে সীমানার বিরোধ চলে আসছিল। বিগত ৩ মাস আগে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঠিক করে দেন। এর পর থেকে হাকিমের স্ত্রী তৈয়বা বিচারক সহ তাদেরকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে আসছে।
মওলানা ছৈয়দুল আমিন জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর হাকিম তার স্ত্রী তৈয়বা এবং নুরুল ইসলাম কালু আমার বাড়িতে ঢুকে আমার স্ত্রী সালেহাকে বেদম মারধর করে এবং ঘরে থাকা সেলাই মেশিনসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে বিভিন্ন জিনিস পত্র নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী সালেহা বাদী হয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীতে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ বুধবার ২৭ ডিসেম্বর বিকালে সালিশি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে ফের সীমানার ঘেরা ভাংচুর করে।
এসময় সালেহা বেগমকে বেদম মারধর ও দায়ের কুপে পা কেটে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে নুয়ে পড়ে । ঘটনাস্থল থেকে লোকজন সালেহাকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। এবিষয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই দুলাল জানান সালেহার বাড়িতে হামলার ঘটনা তিনি তদন্ত করেছেন, এবং মারামারি বিষয়টি শুনে তিনি তাদের আগে চিকিৎসা নিতে বলেন। এর পর আইনি ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন। সংশ্লিষ্ট মেম্বার আনছারি গত ৩ মাস আগে সীমানার বিষয়ে আপষ মীমাংসার কথা বলেন। কালু ও তার মেয়ে তৈয়বা বিচারককে গালাগালি করেছে এটিও শুনেছি, তারপরেও আমরা জনপ্রতিনিধি বলে আমাদের সহ্য করতে হয়। আহত সালেহার পরিবার এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।