
চট্টগ্রাম ব্যুরো :
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, পাহাড়খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরের লিংক রোড এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা পাহাড়ের পাদদেশে সর্তকীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড়কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্তত জনসাধারণ পাহাড় কাটার বিষয়ে সচেতন হবে। পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে তাঁরা সরাসরি থানায়, পরিবেশ অদিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এছাড়াও সংশিষ্ট সরকারি সংস্থা নিজ উদ্ধোগে পাহাড়ে অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের যাতে সরিয়ে নেয় সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পাহাড় ধসের বিষয়ে মাইকিং , লিফলেট বিতরণ ও সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল এর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং পাহাড় কাটা প্রতিরোধ করতে মনিটরিং ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ’
কাটার সম্ভাবনা আছে এমন ২৬টি পাহাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন। এসব পাহাড়ের মধ্যে ১৬টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বাকী ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন। এ সময় জেলা প্রশাসক উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে পাহাড় কাটলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৭তম সভার সিদ্ধান্ত ও উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন আদেশ অনুযায়ী পাহাড় ও টিলা কাটায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে সোমবার ঝুঁকিতে থাকা এসব পাহাড়ের পাদদেশে সাইনবোর্ড স্থাপন করে জেলা প্রশাসন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, ডেপুটি কালেক্টর মাজহারুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক, হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান, চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএফএম শামীম, সহকারী কমিশনার প্লাবন কুমার বিশ্বাস প্রমূখ।