
ইয়াসিন কবির জয়, ঢাকা :
২০২২ সালের ২৬ জুলাই সরকারের অর্থ বিভাগের সাথে একটি সংশোধিত ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেই চুক্তি অনুযায়ী, ১% সুদহারে ৩৫ বছরের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করা হবে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুর জন্য নেওয়া ঋণের ৫ম ও ৬ষ্ঠ কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. মঞ্জুর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে ৩১৫,০৭,৫৩,৪৪২ টাকা পরিশোধ করেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩২,৬০৫.৫২ কোটি টাকা।
নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থই বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
২০২২ সালের ২৬ জুলাই সরকারের অর্থ বিভাগের সাথে একটি সংশোধিত ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সে চুক্তি অনুযায়ী, ১% সুদহারে ৩৫ বছরের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করা হবে। ঋণ পরিশোধের সময়সূচী অনুসারে, প্রতি অর্থবছরে চার কিস্তিতে সুদ পরিশোধ করা হবে, মোট কিস্তি ১৪০টি।
এছাড়া সেতুর বিস্তারিত নকশার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ২% সুদে দুটি ঋণ চুক্তির আওতায় ১৫ বছর মেয়াদী মোট ১,৭৪,৫৩,০০০ টাকার স্পেশাল ড্রয়িং রাইট (এসডিআর) ঋণ নেওয়া হয়েছে।
বছরে চার কিস্তি, অর্থাৎ মোট ৬০ কিস্তিতে সুদ ও মূলসহ ২৮,০৯৯,৩৩০ টাকা এসডিআর পরিশোধ করা হবে। চুক্তির পর ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকেই সেতু কর্তৃপক্ষের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে তারা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন সেতুটি উদ্বোধনের পর থেকে এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত টোল হিসেবে মোট ১,১৬৫,১৩,৪১,৩৪১ টাকা আদায় করা হয়েছে।