তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
সামাজিক মাধ্যমের সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন অনলাইন নিরাপত্তা আইন প্রনয়ণ করে বিভিন্ন অনৈতিক কনেটন্ট সরানোর ব্যবস্থা চালু করতে পারে যুক্তরাজ্য –এমনই বলেছেন দেশটির এক মন্ত্রী।
গেল অক্টোবরে আইনে পরিণত হওয়া ‘অনলাইন সেইফটি অ্যাক্ট’ অনুসারে, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে অবৈধ কনটেন্ট সরানোর ও বয়স শনাক্তকরণ ব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করতে হবে। ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমগুলোয় ব্যবহারকারীর নূন্যতম বয়স ধরা হয়েছে ১৩ বছর।
মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে বলেছে, সামাজিক মাধ্যমে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রবেশে সম্ভাব্য ক্র্যাকডাউন চালানো বা তাদের পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। শুক্রবার দেশটির বিজ্ঞান মন্ত্রী অ্যান্ড্রু গ্রিফিথ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতা ও অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণে সবসময়ই ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছে সরকার। “আমার মতে, বিষয়টি এখনও অনুমান নির্ভর হলেও ভবিষ্যতে ইন্টারনেটে প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাধীনতার বিপরীতে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি যে কোনো বিচক্ষণ সরকারই খতিয়ে দেখতে পারে।” –টাইমস রেডিও’কে বলেন তিনি।
এর আগে অবৈধ ও ক্ষতিকর কন্টেন্ট থেকে শিশুদের মেটা প্ল্যাটফর্ম ও স্ন্যাপচ্যাট কীভাবে সুরক্ষা দেয়, তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে এক ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।