ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটিয়া মাদরাসায় হামলা-সংঘর্ষ বন্ধ ও নিরাপত্তা দাবি

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া :

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কওমী আকিদ্বাভুক্ত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পটিয়া আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম জমিরিয়া মাদ্রাসায় হামলা, সংঘর্ষ, ভয়ভীতি বন্ধ করে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদরাসার ছাত্ররা।

মঙ্গলবার মাদরাসা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অধ্যয়নরত ছাত্ররা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদরাসার দাওরা ও হাদিস বিভাগের ছাত্র কাশেম আল নাহিয়ান। এ সময় ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আরিফুল্লাহ,তানজিদ, মাহফুজ, শাহেদ প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ২২টি বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ছাত্র-শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের কারণে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযা গত ২৮ অক্টোবর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ২৯ অক্টোবর সূরা কমিটির বৈঠকে তাকে মাদরাসার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু অব্যাহতি পাওয়া এই মহাপরিচালক পূণরায় মাদরাসায় স্বপদে বহাল হওয়ার জন্য বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছেন। এক মাস যাবত ৪ দফায় বহিরাগতরা হামলা-সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পটিয়া থানা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। পুলিশ না থাকলে যেকোন সময় হত্যাকান্ডের মতো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতো। গত ৫ ডিসেম্বর বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী মাদ্রাসার গেইট ভেঙ্গে ছাত্রদের উপর আক্রমণ করে।

উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলে। এতে মাদরাসার ছাত্ররা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। ছাত্রদের ঠিকমতো লেখাপড়া হচ্ছে না, পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুুতি নিতে পারছে না। মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযা শূরা কমিটির বৈঠক বারবার বানচাল করছেন। শূরা কমিটির বৈঠক না হওয়ায় একজন মহাপরিচালক মনোনীত করা সম্ভব হচ্ছে না। সূরা কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে মাদরাসার শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ছাত্ররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।