
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারা নির্বাচিত হবেন সেই তালিকাও হয়তো এতদিনে তৈরি হয়ে গেছে। সেই তালিকা গোপন থাকবে না।
ইনু সাহেব, মেনন সাহেবের মন খারাপ। কিংস পার্টি, কুইন্স পার্টিরা সিট পাবে ভেবেছিল। এই দালালগোষ্ঠী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে একটা সিটের আশায় খেলতে গিয়ে এখন আমও যাচ্ছে, ছালাও যাচ্ছে। ’
রোববার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধের সমর্থনে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালে এক কেরামতি করেছেন, ২০১৮-তে আরেক রাজচালাকি করেছেন। ২০২৪ সালে এসে সবাইকে বলল—নির্বাচনে যাও, সবাইকে কিছু না কিছু দেব। দলের লোকজনকে বলেছেন, এবার তোমরাও দাঁড়িয়ে যাও, এবার আমি আর কোনো দায়িত্ব নেব না। মারামারি করে ইলেকশন করো।
সরকার আবারও একটা তামাশার, সার্কাসের নির্বাচন করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে কোনো প্রতিপক্ষ নাই। কেউ গোপনে কেউ প্রকাশ্যে গণভবনে আপনার দোয়া নিতে যায়। কাকে কয়টা সিট দেবেন। কাকে নৌকা, কাকে স্বতন্ত্র, কাকে ডামি দেবেন। এটা কী ধরনের নির্বাচন?
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুব্রত চৌধুরী আরও বলেন, ২০১৪-তে নির্বাচন করেছেন বিনাভোটে। আপনাকে কেউ ভোট দেয়নি। ২০১৮-তে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমাকে বিশ্বাস করেন। আমাদের বলেছিলেন, ভোটে আসেন। তারপর কী হলো? আমাদের প্রার্থীদের মাঠে নামতে দেন নাই। আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থীরাও জানে না কীভাবে ভোট হয়েছিল।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সভাপতি বাবুল সরদার চাখারী বলেন, এই তামাশার নির্বাচনে যে ৩০টি দল গেছে, তাদের সবার সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবনে বসে সবাইকে সিটের আশা দেন।