ই-পেপার | শনিবার , ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে: অধ্যাপক তাজমেরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম বলেছেন, নাটকীয়ভাবে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো। এ তফসিল বন্ধ করতে হবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

 

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তাজমেরী এস ইসলাম বলেন, দেশে যখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়, রাষ্ট্র থেকে যখন গণতন্ত্র বিদায় হয়, সরকার যখন বিপদগামী হয়, গণতন্ত্র থেকে সরে যায় তখনই প্রশাসনের নেতারা বিপথগামী সরকারকে সঠিক পথে আনার জন্য সংগ্রাম করেছেন।

 

সেই সুবাদে আজকের এ সংগ্রাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এ সংগ্রাম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। আপনারা জানেন গত দুইটি
নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৮ পরে জনগণ আবার চায় তাদের ভোট দিতে। তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। তারা চায় জনগণের সরকার ও গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চায়। এরকম একটি অবস্থা যখন বিদ্যমান তখন এ সংগ্রামে যারা আছেন পেশাজীবীদের ওপর পুঁজিবাদীরা জেল জুলুম অত্যাচারে অনেকেই কারাগারে বন্দি আছেন।

 

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির একটি সমাবেশ ছিল। সে সমাবেশে একটি গোলযোগ-গোলমাল লাগিয়ে সমাবেশটা অসমাপ্তভাবে শেষ করা হলো। নাটকীয়ভাবে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কারাবন্দি করা হলো। আরেকটি নাটকীয়ভাবে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের সাবেক এ নেত্রী বলেন, তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো। এ তফসিল বন্ধ করতে হবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এ পরিস্থিতি ও পরিবেশে জনগণ নিরাপদে ও স্বস্তিতে ভোট দিতে পারবে না। যেখানে সমস্ত রাজনীতিবিদরা কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সেরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

 

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারল সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, নির্বিচারে মানুষকে সাজা দেওয়া বন্ধ করুন। উন্মুক্ত আলোচনা করুন। আপনারা নির্বাচনে হারবেন বলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চান না। নির্বাচনের একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন। তারপর নির্বাচন করুন। মানুষের ভোটাধিকারের পরিবেশ তৈরি করুন। দেশ হতে যখন গণতন্ত্র বিদায় হয় তখনই বিপদগামী সরকারকে সঠিকপথে আনার জন্য বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ সংগ্রাম করে। জনগণ ভোটাধিকার চায়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই কেবল জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পাবে৷

 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, প্রফেসর ড. আব্দুল কুদ্দুস, ঢাবি শিক্ষক ইউট্যাব সভাপতি এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবি সাদা দলের সভাপতি লুতফুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও ডিইউজের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম।