ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুতে মিধিলির প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি”র প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি এসব এলাকার আগাম শীত কালীন শাক,সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে (১৮ নভেম্বর) শনিবার ভোর বেলা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাসে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ও রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের আমন ধান এবং শীতের আগাম শাক-সবজী চাষ, ফলজ,বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। পাকাধান ও আধাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় এখানকার কৃষকেরা হতাশা।

 

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার কৃষক জহির,জামাল ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউপির কৃষক আমিরুজ্জামান,আলি আহমদ সহঅনেকে জানান, অন্যান বছরের চেয়ে এ বছার সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় ফলন ভাল হয়েছিলো। কিন্ত ঘুর্নিঝড় মিধিলি”র প্রভাবে অধিকাংশ ধান মাটিতে পড়ে যায়। একারণে এসব এলাকার কৃষককের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে কৃষক এর স্বপ্ন মাটিতে নুয়ে পড়ছে। রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার ২ ইউনিয়ন ও নাইক্ষ্যংছড়ির সদর, বাইশারী, দৌছড়ি,ঘুমধুম ও সোনাইছড়িসহ ৫ ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককের সাথে কথা হলে তারা জানান,ঘুর্নিঝড় এর কারনে আমাদের ফসলের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলার করণে ছিলাম বিদ্যুৎহীন তাই অনক বাড়ী ঘরের রক্ষিত ফ্রীজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।

 

অপরদিকে সাদা সোনার দেশ নামে খ্যাত বাইশারীতে ঘূর্নিঝড়ে রবার বাগানের তেমন ক্ষতি হয়নি বৃষ্টির কারণে রাবারের কষ আহরন বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে ওই সব শ্রমীকদের। বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি জানান, ফসল সহ আগাম সবজী ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এভাবে নাইক্ষ্যংছড়ির ৫ ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মানুষের কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায় নাই। সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার জানান । নাইক্ষ্যংছড়ি কৃষি অফিসার এনামুল হক, জানান কৃষি মাঠ কর্মীরা সরজমিনে পরিদর্শন করেছন এবং কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়েছেন। কিছু পাকাধান মাটিতে পড়ে গিয়ে আংশিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি পাকাধান গুলো কেটে ফেললে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই তিনি আরো জানান, উপসহকারী কৃষি অফিসারগন একারণে মাঠে রয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে কৃষকদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। আংশিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিস জহিরুল ইসলাম জানান, অনেক কৃষকের আধাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়ছে এজন এসব এলাকার কৃষকের ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে আগাম শাক-সবজির তেমন ক্ষতি হয়নি।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা সাংবাদিকদের জানান, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি “র কারনে উপজেলায় কোন বড় ধরনের ঘটনা ও হতাহতের খবর ও পাওয়া যায়নি। তিনি ঘুর্ণিঝড় মিধিলি আসার আগেই প্রতিটি ইউনিয়নে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা কথা বলেন।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট