শওকত আলম, কক্সবাজার :
কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্র ইনতিসার একরাম রাহিকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন ওই কলেজের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক গোপাল দাশ। শিক্ষকের উপুর্যুপরি ঘুষির আঘাতে চোখ-মুখ রক্তাভ ফুলে গেছে- এমনটাই জানিয়েছেন ছাত্রটির পরিবার।
আহত ছাত্র রাহি’র পিতা, কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা জানান, মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে তার ছেলে, কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইনতিসার একরাম রাহিকে কলেজের ক্যান্টিনে নাস্তা করা অবস্থায় শিক্ষক গোপাল দাশ শারীরিকভাবে মারাত্মক আঘাত করেছেন।
তিনি জানান, শিক্ষক গোপাল নিজের একাধিক আংটি পরিহিত মুষ্টিবদ্ধ হাত দিয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তার সন্তানের চোখে-মুখে সজোরে একাধিক ঘুষি মেরেছেন। এতে ছেলেটির চোখ-মুখ রক্তাভ লাল হয়ে ফুলে গেছে। আঘাতের ফলে ছেলের চোখে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগে জানা গেছে, কক্সবাজার সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক গোপাল দাশের এক নিকটাত্মীয়ের একটি অস্থায়ী ক্যানটিন রয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে। ভুক্তভোগী ছাত্র ওই ক্যানটিনে না খেয়ে অপর একটি ক্যানটিনে গিয়ে নাস্তা খাওয়ার কারণে বেজায় ক্ষেপে যান শিক্ষক গোপাল। আর এই কারণেই রাহিকে মেরেছেন বলে দাবি করেন পিতা একরামুল হুদা।
এবিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত শিক্ষক গোপাল দাশের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা আমাদের কাছে সন্তান সমতুল্য। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কোনো ছাত্রকে আঘাত করা হয়নি।’ তিনি দাবি করেন, অনেক ছাত্র এক জায়গায় জড়ো হলে তাদের ক্লাসরুমে চলে যেতে তাগাদা দেয়া হয়। এতে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে হয়তো কোথাও ধাক্কা লেগে ওই ছাত্রের শরীরে আঘাত হতে পারে।